ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

পৌরাণিক কাহিনীতে থাকা বিখ্যাত প্রাণীরা

প্রকাশিত: ১৫:২৭, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

পৌরাণিক কাহিনীতে থাকা বিখ্যাত প্রাণীরা

সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে হাজারো পৌরাণিক কাহিনী বিভিন্ন রূপে। সেসব কাহিনীতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে বিভিন্ন আকর্ষণীয় প্রাণীরা। এসব পৌরাণিক কাহিনীর প্রানীদের কেউ  সামুদ্রিক দানব থেকে শুরু করে জাহাজ গিলে ফেলতে পারে, কারো বা ক্ষমতা আছে মানুষকে নতুন জীবন দান করার।

 

আজ এমনই বিশেষ ক্ষমতাধর ১০ পৌরাণিক প্রাণী নিয়ে বর্ণনা করছি:

১. ফিনিক্স:

পৌরাণিক কাহিনী এবং কিংবদন্তিতে উল্লিখিত সবচেয়ে বিখ্যাত প্রাণীগুলির মধ্যে একটি হল ফিনিক্স। এই উজ্জ্বল লাল পাখিটি তার নিজের ছাই থেকে জন্ম নেয়। পৌরাণিক গল্পের এই ফিনিক্সকে রূপান্তর এবং নতুন সূচনার প্রতীক হিসাবে দেখা হয়।

 

২. ফেনরির:

ফেনরির নর্স পুরাণের একটি দানব বা দৈত্যাকার নেকড়ে। এই ফেনরির লোকি এবং অ্যাংরোবোডার সন্তান বলে সবাই ধারণা করে। বন্য অন্যান্য নেকড়েদের তুলনায় ছিল সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খল ও বিধ্বংসী।

 

৩. আনুবিসের শেয়াল:

মমি এবং পরকালের দেবতা হিসাবে বিখ্যাত আনুবিসকে একটি শেয়ালের মাথা দিয়ে দেখানো হয়েছে। এটি বিশ্বাস করা হয় যে আনুবিস মৃত আত্মাদের রক্ষা এবং পরকাল পরিচালনা করেন।

 

৪. সাদা হরিণ:

এই সাদা হরিণকে সৌন্দর্যের প্রতীক হিসাবে দেখা হয়, যা মানুষকে আধ্যাত্মিকতার পথে পরিচালিত করে।  এই হরিণের সম্পূর্ণ শরীর শ্বেতশুভ্র, যার মাথায় বড় পিঁপড়ার মতো প্রাণী রয়েছে।

 

৫. গরুড়:

গরুড়কে একটি দৈত্য বা ঈগলের মতো পাখি বলে মনে করা হয়। হিন্দু পুরাণ মতে ভগবান বিষ্ণুর বাহন হলো গরুড়। গরুড় তার গতি এবং শক্তির জন্য পরিচিত এবং মানুষকে মন্দ থেকে রক্ষা করে।

 

৬. সারবেরাস:

পৌরাণিক কাহিনীতে, সেরবেরাস একটি তিন মাথাওয়ালা দৈত্যাকৃতির কুকুর, যা পরকালের দরজা পাহারা দেয়। সেরবেরাস মৃতদের পরকাল থেকে পালাতে বাধা দেয়। মানুষকে ভয় দেখাতে এবং আটকে রাখতে তার একটি ভয়ঙ্কর চেহারা আছে।

 

৭. মিনোটোর:

গ্রিক কিংবদন্তির একটি প্রাণী মিনোটোর। যার মাথা ষাঁড়ের মতো এবং দেহ মানুষের। এই প্রাণীর মাথায় বিশাল সূচালো শিং রয়েছে। আর শক্তিশালী যোদ্ধাদের পরাজিত করতে রয়েছে যথেষ্ট বিশালাকৃতির দেহ।

 

৮. ড্রাগন:

অনেক পৌরাণিক গল্প, বই এবং কল্পনার সাধারণ একটি প্রাণী হলো ড্রাগন। ড্রাগন প্রতিটি শিশুর কাছে সবচেয়ে প্রিয় এবং সবচেয়ে ভয়ঙ্কর প্রাণী।

 

৯. থান্ডারবার্ড:

নেটিভ আমেরিকান পৌরাণিক কাহিনী থেকে থান্ডারবার্ড একটি বিশাল পাখির আকারে একটি আত্মা ছিল। এই থান্ডারবার্ড অনেকের কাছে পবিত্র বলে বিবেচিত হয়। এটি পৃথিবীতে ঝড় আনতে পারে। ঠোঁট দিয়ে  আলো তৈরি করা থেকে শুরু করে আরও অনেক বিশেষ ক্ষমতাই রয়েছে থান্ডারবার্ডের।

 

১০. ক্র্যাকেন:

নর্স কিংবদন্তির একটি সামুদ্রিক প্রাণী হল ভয়ঙ্কর ক্র্যাকেন। এই সামুদ্রিক দানব কোনো নিছক প্রাণী নয়। এই দানব অক্টোপাস একই সাথে 1000 জন মানুষ, অসংখ্য জাহাজ এবং আরও অনেক কিছু নিজের ভেতরে বন্দী করে ফেলতে পারে।

তানজিলা

×