নানা রূপে ভৈরব বাবা
কার্তিক মাসের শেষ দিনে ভারতের বহরমপুর শহরে ১০০-র বেশি ভৈরব পুজো হয়। ২০৯০ সাল পর্যন্ত ‘বাবা’কে পুজো দেওয়ার বুকিং সেরে রেখেছেন ভক্তরা।
এর মধ্যে আলোচনায় এসেছে অভিনব কিছু বাবার খবর। ভাঙা প্রেম জোড়া লাগাতে ‘ব্রেকআপ বাবা’র বেশ সুনাম। ভাঙন রোধ করতে গঙ্গাপারের বস্তিবাসীরা সেই ‘বাবা’কে প্রতিষ্ঠা করেছেন, তাই এমন নাম। এর পর রয়েছেন ‘ইমার্জেন্সি বাবা’। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে নিস্তার পেতে তাঁর দ্বারস্থ হন ভক্তরা।
বাবা এক হলেও নানা রূপে তাঁকে পূজা দেওয়া হয়। এছাড়াও রয়েছেন ‘কড়াই বাবা’, ‘গালি বাবা’, ‘তেঁতুল বাবা’।
স্থানীয়রা জানায়, বহরমপুর শহরের খাগড়া এবং ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকায় সুন্দর ভারতী স্কুলের দুই দিকে ‘প্রেম বাবা’ এবং ‘ডাব বাবা’র জনপ্রিয়তা বেশি। রয়েছেন ‘প্রেম বাবা’, ‘ব্রেকআপ বাবা’।
‘ব্রেকআপ বাবা’র কাছে মানত দিতে এক তরুণ জানান, প্রায় দেড় বছর তিনি বিদেশে ছিলাম। ওই সুযোগে প্রেমিকার বাড়ির লোকজন তাঁকে অন্য এক জনের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিলেন। বন্ধুর কথা মতো তিনি বিদেশ বিভুঁইয়ে ‘ব্রেকআপ বাবা’র কাছে পূজার মানত করেছিলেন। তার দাবি, ‘‘সাত দিনের মধ্যে প্রেমিকার বিয়ে ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়েছিলাম। পরে প্রেমিকার বাবা নিজে থেকে আমাকে তাঁর মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
এক পূজা উদ্যোক্তা বলেন, ‘‘সব মিলিয়ে এখন একশ’র বেশি ভৈরব পুজো হয়। ‘ভৈরব বাবা’ ও ‘নিম বাবা’র জনপ্রিয়তা সর্বাধিক। তবে ইদানীং ‘ব্রেকআপ বাবা’ ও ‘ইমার্জেন্সি বাবা’র কাছেও মানুষের ভিড় বাড়ছে।’’
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
নাহিদা