মানুষের অদ্ভুত সব শখে যেনো পৃথিবীতে একেক দিনে একেক ধরনের মজার কাণ্ড ঘটতে থাকে।
আজ এমনই এক মজার দিন। বছরের ১৬ নভেম্বর পালিত হয় ‘বোতাম দিবস’। কী ভিন্ন রকম শোনায় এ দিবসের নাম। কিন্তু এই ভিন্নতাই দিবসটির সৌন্দর্য।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল বাটন সোসাইটি’র উদ্যোগে এ দিবসটি পালিত হয়। অনেক মানুষ বিভিন্ন সময় রঙ বেরঙের অনেক বোতাম সংগ্রহ করে নিজের কাছে রেখে দেয়। আর তাদের এই পছন্দের কাজকে স্বীকৃতি দিতেই এই সংস্থাটি বোতাম দিবসের প্রচলন করেছে।
হুট করে শার্ট বা পাঞ্জাবীর বোতাম ছিড়ে গেলে সেই পোশাকটিতে দ্রুত বোতাম ঠিক করে দেয় মা, বোন বা প্রেমিকা। সাথে দেয় মিষ্টি মধুর বকাও। প্রায় সব পুরুষই জীবনের কোনো না কোনো সময় এই অভিজ্ঞতা পেয়ে থাকে। এটি হয়তো তার জীবনের ভীষণ মধুর স্মৃতির একটি। এই দিবসটি এমন ধরনের স্মৃতি রোমন্থনের আরও একটি সুযোগ এনে দেয়।
এই প্রিয় আবেগের স্মৃতি ছাড়াও বোতাম খুবই বিশেষ একটি বস্তু। পোশাকের সুরক্ষার জন্য এর আসলে সহজ কোনো বিকল্প নেই। আবার সাম্প্রতিক কালে সৌন্দর্যবর্ধনের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয় বোতাম।
ব্যাগ, ওয়ালেট, ছবির ফ্রেম, গয়না, ল্যাম্পশেড এমনকি জুতাতেও আজকাল এর ব্যবহার দেখা যায়। ছোট, বড়, গোল, ত্রিকোনা বা চৌকোনা—নানা আকার ও ধরনের বোতাম রয়েছে। কাপড়, প্রাণীর শিং, দাঁত, হাড়, শামুক-ঝিনুকের খোলস, নারকেলের শক্ত খোসা থেকে শুরু করে কাঠ, রাবার প্রভৃতি দিয়ে বানানো হয় বোতাম। অভিজাত ও শৌখিন মানুষ সোনাসহ আরও দামি পদার্থ দিয়ে তৈরি বোতামও ব্যবহার করেন।
তানজিলা