ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১

ছয় গ্রামের মানুষের ভরসা বাঁশের সাঁকো ।। চরম দুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ও পঞ্চগড়

প্রকাশিত: ২১:৪৪, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

ছয় গ্রামের মানুষের ভরসা বাঁশের সাঁকো ।। চরম দুর্ভোগ

.

 

 


নিজস্ব সংবাদদাতা, দাউদকান্দি, কুমিল্লা ॥ তিতাস উপজেলার রঘুনাথপুর থেকে কালিপুর যাওয়ার পথে খালের ওপর সেতু নির্মাণ না হওয়ায় ছয় গ্রামের মানুষকে সারাবছর বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। প্রতিবছর নিজেদের উদ্যোগে সাঁকো নির্মাণ করা হলেও পাকা সেতু নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। চার বছর আগে একটি সেতু বরাদ্দ হলেও ঠিকাদারের অনীহায় তা অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এ এলাকার মানুষ।
জানা যায়, উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের রঘুনাথপুর আনন্দ বাজার থেকে দানু মুন্সির বাড়ি পর্যন্ত পাকা রাস্তা রয়েছে। এরপর গ্রাম সংলগ্ন খাল। খালের ওপর বাঁশের সাঁকো। সাঁকোটি সারাবছর ব্যবহৃত হয় বিধায় বাঁশ বিছিয়ে বাঁধানো হয়েছে। এটি দিয়েই মূলত কালিপুর, দড়িকান্দি, মানিককান্দি ও হাইধরকান্দি গ্রামের শত শত লোক প্রতিদিন আনন্দ বাজারে আসে। এ পথেই তাদের আসতে হয় আসমানিয়া বাজারে।
এদিকে খলিলাবাদ, রঘুনাথপুর, রঘুনাথপুর নয়ানী ও রঘুনাথপুর সাতানী গ্রামের লোকজন যাতায়াতসহ মাঠ থেকে ফসল আনার ক্ষেত্রে সাঁকোটি ব্যবহার করে থাকে। কালিপুর ও রঘুনাথপুর গ্রামবাসীর যৌথ উদ্যোগে প্রতিবছর সাঁকোটি মেরামত করা হয়। এ কাজে ব্যয় হয় প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে গ্রামীণ রাস্তায় কম-বেশি ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় রঘুনাথপুর আনন্দ বাজার রাস্তার দানু মুন্সির বাড়ির উত্তর পাশে খালের ওপর ৩৬ ফুট দৈর্ঘ্যরে সেতু নির্মাণ অনুমোদন পায়। যার ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩০ লাখ ৭০ হাজার ৯৪৮ টাকা। সে সময় পানি থাকায় ঠিকাদার সেতুটি নির্মাণে অনীহা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সভার মাধ্যমে সেতুটির নির্মাণ স্থান পরিবর্তন করা হয়। পরে সেতুটি একই ইউনিয়নের মানিককান্দি মোল্লা বাড়ি এতিমখানা সংলগ্ন ভরা নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়।
উপজেলা প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, এটি মূলত গ্রামীণ রাস্তা। তবে এলজিইডির আওতাভুক্ত নয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমাইয়া মমিন বলেন, আমি সরেজমিনে স্থানটি পরিদর্শন করে এলাকার সুশীল প্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে যাতে ওই স্থানে সেতু নির্মাণ করা যায় সে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

×