ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

জেরিকো ব্রাউনের কবিতা

তূয়া নূর 

প্রকাশিত: ০০:০৪, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

জেরিকো ব্রাউনের কবিতা

.

একজন সাহসী মার্কিন কবি জেরিকো ব্রাউন। বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাস শোবার ঘর, স্কুল, কর্মক্ষেত্রসহ সবখানে বিস্তৃত হয়েছে। চলছে ধর্ষণ থেকে শুরু করে পুলিশি নির্যাতন নিরস্ত্র মানুষের ওপর। এসব বিষয়ে তিনি সোচ্চার হয়েছেন কবিতায়। সনেট, গজল এবং ব্লুজের সংমিশ্রণে ডুপ্লেক্স কবিতা তার নিজস্ব উদ্ভাবন।
জেরিকো ব্রাউন (১৪ এপ্রিল ১৯৭৬) জন্মগ্রহণ করেন ও বেড়ে ওঠেন লুইজিয়ানার শ্রেভপোর্টে। তিনি ডিলার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ইউনিভার্সিটি অব নিউ অরলিন্স থেকে এমএফএ এবং ইউনিভার্সিটি অব হিউস্টন থেকে পিএইচডি নেন। 
তিনি এখন জর্জিয়ার আটলান্টার এমরি ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজির একজন সহযোগী অধ্যাপক এবং সৃজনশীল লেখার প্রোগ্রামের পরিচালক। 
তার কাব্যগ্রন্থগুলো প্লিজ (২০০৮), দ্য নিউ টেস্টামেন্ট (২০১৪) ও  দ্য ট্র্যাডিশন (২০১৯)।
২০২৩ সালে প্রকাশিত হয় হাউ উই ডু ইট : ব্ল্যাক রাইটার্স অন ক্রাফ্ট, প্র্যাকটিস অ্যান্ড স্কিল নামে আফ্রিকান আমেরিকান লেখকদের ৩১ টা প্রবন্ধ এবং সাক্ষাৎকারের একটি সংকলন।
জেরিকো ব্রাউন পুলিৎজারসহ পেয়েছেন অনেক পুরস্কার। 
তার বুলেট পয়েন্টস কবিতা দ্য ট্র্যাডিশন থেকে নেয়া, যেখানে আছে বিচারবহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদ। 

বুলেট পয়েন্টস 
জেরিকো ব্রাউন

আমি গুলি মারবো না নিজের মাথায়,
আমি গুলি মারবো না নিজের পিঠে, 
ফাঁস নেব না ময়লা ফেলার ব্যাগের সাথে ঝুলে,
আর যদি মরি 
জবান দিচ্ছি তোমাকে, আমি মরবো না 
পুলিশের গাড়িতে হাতকড়া পরা অবস্থায় 
অথবা জেলখানার কয়েদ ঘরে কোনো শহরে
যার নামটা শুধু জানা, কারণ
আমাকে যে এর ভেতর দিয়ে গাড়ি চালায়ে বাড়ি ফিরতে হবে।
সত্যি যে, আমি হয়তো সম্ভাব্য বিপদের ভেতর আছি
আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি 
আমার বাসার কাঠের মেঝের নিচে 
যে কীটেরা বাস করে, তাদের আমি বিশ্বাস করি 
যে কোনো মৃতদেহের প্রতি কেমন হতে পারে তাদের আচরণ
বিশ্বাস করি বেশী এই রাষ্ট্রের আইন রক্ষাকারী কর্মকর্তার চেয়ে,
আমার চোখ পাতা বুজায়ে দেবে 
পুরোহিতের মতো, অথবা কাপড় দিয়ে আমাকে ঢেকে দেবে, 
খুব পরিষ্কার, আমার মা হয়তো এটা বিছানায় গুঁজে দিয়ে 
আরামদায়ক করে।
আমি যখন মরবো নিজ থেকে
আমি ঠিক সেভাবেই কাজটা করবো যে ভাবে অধিকাংশ মার্কিনীরা করে,
কথা দিচ্ছি : মৃত্যু হবে সিগারেটের ধোঁয়ায়
অথবা এক টুকরো মাংসে আটকে গিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস। 
কপর্দকহীন অবস্থায় জমে এমন কোনো এক শীতে আমরা যাকে
সর্বকালের দুর্বিষহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলে থাকি। 
আমার মৃতদেহ যদি পাওয়া যায় আশেপাশে পুলিশ ছিল, বুঝে নিও 
শপথ করে বলছি,
তার হাতই হয়েছে আমার মৃত্যু।
সে নিয়ে গেছে আমাকে আমাদের কাছ থেকে 
লাশ ফেলে রেখে গেছে,
কোনো ব্যাপার না আমাদের যা শেখানো হয়েছে, এই লাশ 
আপোস রফার চেয়ে বড়ো যেখানে
একটা শহর মায়ের কান্না থামানোর জন্য পারে নগদ অর্থ দিতে,
এবং অতিশয় সুন্দর তাজা বুলেটের চেয়ে যা
বিচরে বের করে আনা হয়েছে মগজের ভাঁজ থেকে। 

×