.
জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে কিশোরীদেরকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যয়বহুল এইচপিভি টিকা দেওয়া হচ্ছে। এ ভ্যাকসিনে কোনো ধরনের ঝুঁকি বা বন্ধ্যত্ব হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এইচপিভি ভ্যাকসিনের অপপ্রচার বা গুজব রোধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
বুধবার দুপুরে মহানগরীর কলকাকলি উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত কিশোর-কিশোরী পুষ্টি ক্লাবের সদস্যদের ওরিয়েন্টেশন ও এইচপিভি ভ্যাকসিন ক্যাম্পেনের সচেতনতামূলক সভায় জেলা সিভিল সার্জন এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, কিশোরীদেরকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই ব্যয়বহুল এইচপিভি টিকা প্রদান করা হচ্ছে। এ ভ্যাকসিনে কোনো ধরনের ঝুঁকি বা বন্ধ্যত্ব হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এইচপিভি ভ্যাকসিনের অপপ্রচার বা গুজব রোধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর। এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিলে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যাবে। এটি কৈশোরকালীন স্বাস্থ্যসেবার এক নতুন দিগন্ত।
তিনি পুষ্টিযুক্ত খাবার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে বলেন, প্রতিনিয়ত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণে গর্ভবতী মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকে। পুষ্টিসমৃদ্ধ ও আয়োডিনযুক্ত খাবার নিশ্চিত করতে পারলে প্রত্যেকে সুস্থ থাকবে। শরীর ঠিক রাখতে হলে পরিমাণমতো পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। পুষ্টিবান জাতি গঠনে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের কোনো বিকল্প নেই। পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণে নিজেদের পাশাপাশি অন্যদেরকেও উৎসাহিত করতে হবে। এজন্য সর্বত্র জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। মা ও শিশুর সুরক্ষায় নির্ধারিত টিকার পাশাপাশি ১০-১৪ বছর বয়সী কিশোরীদেরকে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধী এইচপিভি ভ্যাকসিন দিতে হবে।
স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও খুদে ডাক্তারের মাধ্যমে জনসাধারণের মাঝে পুষ্টি বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। নগরীর ২৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান কিশোর-কিশোরী ক্লাবের পুষ্টি কার্যক্রম আরও বেগবান করতে হবে।
সভায় জানানো হয়, জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের লক্ষ্যে সারাদেশের ন্যায় গত ২৪ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী জাতীয় হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান ক্যাম্পেন-২০২৪। আগামী ২১ নভেম্বর এ ক্যাম্পেন সম্পন্ন হবে।
শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ৫ম-৯ম শ্রেণির ১০-১৪ বছর বয়সী শিক্ষার্থী, কিশোরী ও স্কুল বহির্ভূত কমিউনিটির ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীকে এইচপিভি ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।