সমাজে প্রতিবন্ধী মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ, স্বাভাবিক ও সম্মানজনক জীবনযাপনের অধিকার রয়েছে। ইসলাম মানুষকে হতদরিদ্র অসহায়ের প্রতি সহানুভূতি ও সাহায্য-সহযোগিতার শিক্ষা দেয়। মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার ন্যূনতম মৌলিক অধিকারগুলো তাদেরও ন্যায্যপ্রাপ্য। সুতরাং সবাইকে খুবই সতর্ক হতে হবে এবং প্রতিবন্ধীদের প্রতি অবহেলা নয়, ভালোবাসা আর সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।
মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে হাতে পায়ে লোহার শিকল দিয়ে গাছের সঙ্গে বাঁধা কামরুল (২৬) বয়স। যখন ৭ বছর তখন থেকেই তিনি মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। কখনো দাঁড়িয়ে আবার কখনো শুয়ে সময় কাটে তার। এভাবেই দীর্ঘ ১৯ বছর শিকলবন্দি হয়ে আছে ব্রাহ্মাণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর পৌরসভার কামাল মিয়ার ছেলে কামরুল। ১৯৯৬ সালে কামরুলের জন্ম হয়। জন্মের প্রায় ৭ বছর বয়স হওয়ার পর থেকেই তার মধ্যে মানসিক কিছু পরিবর্তন দেখা দেয়। তার অস্বাভাবিক আচরণ শুরু হয়।
সে সময় তাকে ছেড়ে দিলে ছোটাছুটি করে যাকে সামনে পেত তাকেই মারধর করত! কামরুলের মা সামছুন নাহার বলেন, 'দীর্ঘ ২০ বছর ধরে হাতে পায়ে বেঁধে রেখেছি আমার সন্তানকে। এ দৃশ্য আমি মা হয়ে সহ্য করতে পারছি না। মা হয়ে আমি নিজেও সারা রাত ঘুমাতে পারি না। কারণ কখন সে কী করে বসে এ দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় আমাকে। আমি গরিব মানুষ, ঠিকমতো সংসার চালানোই আমাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। ছেলের উন্নত চিকিৎসা করব কীভাবে? ধারদেনা করে এতদিন কোনোভাবে চিকিৎসার খরচ মিটিয়েছি। এখন আমি অসহায় হয়ে পড়েছি। আর চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা পরিবারের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। ডাক্তার জানিয়েছেন, উন্নত চিকিৎসায় কামরুল সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। সমাজের বিত্তশালী ও দানশীল ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন তার মা। একটু সহযোগিতায় রোগীটি ফিরে পেতে পারেন সুন্দর সুখের জীবন। মানবিক দিক বিবেচনা করে আর্থিক সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে কামরুলের মা সামছুন নাহার আবেদন জানিয়েছেন। সাহায্য পাঠানোর বিকাশ পার্সোনাল নাম্বার-০১৮৮২-২২৪৭৪০
নাহিদা