প্রায় ৫০০ বছর ধরে নড়াইল সদর উপজেলায় চিত্রানদীতে ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরার রীতি রয়েছে।
বর্ষা আর শীতকালই মূলত ভোঁদড় দিয়ে মাছ ধরার ভালো সময়।সেখানকার জেলে সম্প্রদায় তাদের মাঝে লালন করে বেড়ায় এই পুরোনো রীতিকে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নদীর বেহাল দশা, চায়না জাল দিলে মাছ ধরা, নদীতে ঘের কেটে মাছের প্রাকৃতিক আবাসস্থল নষ্ট করাসহ নানান কারণে এখন মাছ ধরার মৌসুমেও সাধারণ জেলেদের দিন কাটে দুর্দশায়। এক-একটি প্রাপ্তবয়স্ক ভোঁদড় কিনতে হলে আপনাকে গুনতে হবে প্রায় ১- ১.৫ লক্ষ টাকা। প্রতিদিন কেজি খানেক মাছ খাওয়াতে হয়। জালে পর্যাপ্ত মাছ ধরা না পড়লে, বাজার থেকে কিনে এনে খাওয়ানো ছাড়া কোনো উপায় থাকে না জেলেদের । জেলেরা মূলত রাতের বেলায় মাছ শিকারে বেরোলেও মাঝে মাঝে তারা দিনেও বের হয়। ঝোপঝাড়ের নিচে লুকিয়ে থাকে বিভিন্ন জাতের মাছ। সেই মাছগুলোকে তাড়া করে জালের দিকে পাঠায় ভোঁদড়। জালে মাছ উঠলে, তা টেনে নৌকায় তোলেন জেলেরা।
তবে ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথে যাচ্ছে ভোঁদড় পালন ও তা দিয়ে মাছ ধরার রীতি কারন ভোঁদড়ের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে । এখনো ভোঁদড় সংরক্ষণে কার্যকরী পদ্ধতি হতে পারে এই মাছ ধরার রীতি। ভোঁদড় পোষা জেলেদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, নিয়মিত তাদের কাজ পর্যবেক্ষণ, সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণ দিয়ে ভোঁদড় সংরক্ষণে আগ্রহী করে তোলা যাবে জেলেদের।
জাফরান