যখন কোন দেশে নির্বাচন হয় , সাধারনত প্রার্থীদের মধ্যে যিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পান, তাকেই বিজয়ী ঘোষনা করা হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে বিষয় ভিন্ন , প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে একজন প্রার্থী বেশি সংখ্যক ভোটারের ভোট (পপুলার ভোট) পাওয়ার পরও অনেক সময় বিজয়ী নাও হতে পারেন। আবার পপুলার ভোটে হেরেও কি কেউ প্রেসিডেন্ট হতে পারেন তার কারণ হলো দেশটিতে ভোটাররা সরাসরি তাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন না।মার্কিন ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেছে পাঁচবার। ২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প জনপ্রিয় ভোটে প্রায় ৩০ লাখ ভোটে পিছিয়ে থাকলেও ইলেক্টোরাল কলেজে জিতেছিলেন। জর্জ ডাব্লিউ বুশ জনপ্রিয় ভোটে হেরে গেলেও ২০০০ সালে আল গোরের বিরুদ্ধে ইলেক্টোরাল কলেজে জয়ী হন। ১৮শ শতকেও এমন ঘটনা তিনবার ঘটেছিল।
কারন তারা দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ নামে বিশেষ একটি ব্যবস্থায়। অর্থাৎ প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের নির্বাচনী লড়াইয়ের মাধ্যমে প্রার্থীদের জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয় স্থানীয়ভাবে। দেশটিতে ইলেক্টোরাল কলেজের মোট ভোটের সংখ্যা ৫৩৮টি।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের একটিতে জয়ী হওয়ার অর্থ হলো একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সেই অঙ্গরাজ্যের সবগুলো ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ ভোট পেয়ে যাবেন। তবে মাইন ও নেব্রাসকা- এই দুটি অঙ্গরাজ্য বাদে বাকি ৪৮টি অঙ্গরাজ্যের ইলেকটোরাল ভোট যোগ দিয়ে যে প্রার্থী ২৭০টি বা তারও বেশি ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ ভোট পাবেন, তিনিই হবেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর বিজয়ী প্রার্থীর প্রার্থীর রানিং মেট হবেন দেশটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট।
এখন শুধু অপেক্ষার পালা ......
জাফরান