.
জুলফিকার শাহাদাৎ-এর কবিতা
মুমুপা কেমন আছিস
মুমুপা কেমন আছিস? কতোদিন পাই না তোরে
বলছি কী ঘটেছে, বাড়িতে আজকে ভোরে
মতিদের পোষা বিড়াল দিয়েছে দশটি ছানা
আহা কি আনন্দ না!
বদিদের ধেড়ে কুকুর হয়েছে জাত শিকারী!
রাতে ও দিনে দেখি কী যে তার খবরদারি
ভয়ে কেউ যায় না কাছে, যদি সে করে রে হা-
আমাকে কক্ষনো না।
অরিনের পায়রা দুটো উড়ে যায় দূরের গাঁয়ে
ফেরে ফের সন্ধ্যা হলে, নীলচে আকাশ নায়ে
পা তাদের পালক বোঝাই, বাঁধতে নতুন বাসা-
দু’চোখে নতুন আশা।
আমাদের ময়নাপাখি শিখেছে বর্ণমালা
বলে সে অ আ ক খ, ডাকে সে আব্বু ও মা
শিখেছে আমারও নাম। তোর নাম শিখবে না সে-
আমাকে উলটো ঝাড়ে, আপু কি বাড়ি আসে?
আপু তুই আয়রে বাড়ি, এইবার ছুটি পেলে-
খেলবো, নাচবো দুজন মুক্ত ডানা মেলে
এভাবে একা-একা যায় বল ঘরে থাকা
কতোদিন আমায় ছেড়ে থাকবি দূরের ঢাকা?
*
চাঁদ রে আয় না
আলমগীর কবির
দিঘীর জলকে আয়না করে
যাচ্ছো দেখে মুখ,
দেখে নিজের প্রতিচ্ছবি
পাও মনে কী সুখ?
চাঁদকে ডেকে বলল খুকি
ও মায়াবী চাঁদ,
বুবুর মতো তোমার বুঝি
আয়না দেখার সাধ?
ছোট্ট একটা বাটি ভরে
যেই রেখেছি জল,
ঝরতে দেখি ফুল জোছনা
অমনি ঝলোমল।
*
দুটি ছড়া
উৎপলকান্তি বড়ুয়া
দোলে দুদোল নরোম সবুজ
ঘাসের কানে দুল,
ভোরের হাতে সকাল এসে
ফোটায় রোদের ফুল।
নরোম রোদের ঘ্রাণ
জুড়াই মন ও প্রাণ!
২.
সবুজ পাতার অবুঝ হাসি
ভালোবাসি ভালোবাসি,
হাওয়ার কানে পাতার বাঁশি
ভালোবাসি ভালোবাসি।
পাতার সাথে বাস
প্রাণভরে নিই শ্বাস।
*
হেমন্তের আগমন
শারমিন নাহার ঝর্ণা
হেমন্ত আজ এলো দ্বারে
শিশির ভেজা পায়ে,
সবুজ শ্যামল স্নিগ্ধ মাখা
মিষ্টি সোনার গাঁয়ে।
হেমন্ত আজ পাকা ধানে
হলুদ রঙের শাড়ি,
হেমন্ত আজ খুশি ছড়ায়
সবার বাড়ি বাড়ি।
হেমন্ত আজ সবুজ ঘাসে
সোনালী রোদ ছড়ায়,
হেমন্ত আজ খুশি আনে
এই না রঙিন ধরায়।
*
ফুলের বনে
শামীম শাহাবুদ্দীন
ফুলের বনে ফুল পরীরা
মধু করে পান,
সেই বনেতেই প্রজাপতির
স্থায়ী বাসস্থান।
ময়না টিয়া ঘু-ঘু শালিক
আসে প্রতি রোজ,
তানহা সোনা প্রতিদিনই
দেয় যে তাদের ভোজ।
ফুল চোরেরা নিত্য আসে
ছিঁড়ে নিতে ফুল,
চোরকে ধরে তানহা বাঁধায়
বিরাট হুলস্থুল!
ফুলের বনের চিন্তাতে তার
ঘুম হয়েছে নাই,
পাড়ার সবাই জানল শেষে
পুরো ব্যাপারটাই!