পান সুপারির সাথে যে জিনিষ টি আমরা অনেকেই খাই তা হলো খয়ের। প্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভূটান, পাকিস্তান, শ্রীলংকা এবং মালয়েশিয়াতে পান খাওয়ার মসলা হিসেবে প্রচলিত এই খয়ের।
পানের স্বাদ বাড়াতে জুড়ি নেই । কিন্তু এই খয়ের কী? ক্যিভাবে হয়, কোথা থেকে আসে , কি প্রক্রিয়ায় হয়, তা অনেকেই জানেনা।
খয়ের কোনো কেমিক্যাল কিংবা খনিজ উপাদান নয়। এটি উৎপাদিত হয় একটি বিশেষ গাছের রস থেকে। যার বৈজ্ঞানিক নাম Acacia catechu)। এই গাছের উচ্চতা ১৫ ফিট পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে। একেকটি গাছ বড় হতে সময় লাগে প্রায় ৩০ বছর। খয়ের গাছ মুলত এশিয়ার বিভিন্ন দেশ যেমন চীন, ভারত পাকিস্তান, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, মায়ানমার প্রভৃতি দেশে উৎপাদিত হয়ে থাকে।
বাংলাদেশে খয়ের শিল্পের যাত্রা শুরু হয় ১৯৫২ সালে রাজশাহীর চারঘাট এলাকায়,এরপর বিকাশ হয়
খয়ের গাছ কেটে প্রথমে ছোট ছোট টুকরো করা হয়। সেই টুকরোগুলো ১২-১৫ ঘন্টা ধরে পানিতে জাল দেয়ার পর রাখা হয় নির্দিষ্ট ছাঁচে। ঠান্ডা হলে তৈরি হয় খয়ের।
চারঘাট উপজেলাই বেশিরভাগ খয়ের কারখানা। এখানে উৎপাদিত খয়ের দেশের রাজধানীসহ দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হচ্ছে।
গলার ঘা সারাতে কিংবা ডায়েরিয়া রোগের ওষুদ হিসেবে ব্যবহার হয় খয়ের।খয়ের গাছ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে, এছাড়াও এর কাঠ দিয়ে তৈরি হয় নানান আসবাবপত্র।
জাফরান