ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১

গোটা বিশ্বে আসলে কতগুলো পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে?

প্রকাশিত: ১৫:১৫, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

গোটা বিশ্বে আসলে কতগুলো পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে?

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বে প্রথম পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালানো হয় ১৯৪৫ সালের ১৬ জুলাই ‘ম্যানহাটন প্রজেক্ট’-এর অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রর নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের মরুভূমিতে। এর কয়েক সপ্তাহ পরেই জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর আরও অন্তত সাতটি দেশ পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালিয়েছে, যার ফলে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে তেজস্ক্রিয়তা।

কিন্তু গোটা বিশ্বে আসলে কতগুলো পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে?

এর সঠিক উত্তর জানা না গেলেও বিজ্ঞানীদের অনুমান, অন্তত ২ হাজার ৫৬টি পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ সমিতি বা ‘আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশন’ অনুসারে, ১ হাজার ৩০টি পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা করেছে যুক্তরাষ্ট্র একাই। আর এখন পর্যন্ত সত্যিকারের যুদ্ধে যে দুটি পারমাণবিক বোমা ফুটেছে, এর দুটোই ফুটিয়েছে দেশটি। এর বাইরে সোভিয়েত ইউনিয়ন বা রাশিয়া ৭১৫টি, ফ্রান্স ২১০টি, যুক্তরাজ্য ও চীন প্রত্যেকে ৪৫টি, উত্তর কোরিয়া ছয়টি, ভারত তিনটি এবং পাকিস্তান দুটি পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা করেছে।

বিশ্বে প্রথম পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালানো হয় ১৯৪৫ সালের ১৬ জুলাই ‘ম্যানহাটন প্রজেক্ট’-এর অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রর নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের মরুভূমিতে। এর কয়েক সপ্তাহ পরেই জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর আরও অন্তত সাতটি দেশ পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালিয়েছে, যার ফলে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে তেজস্ক্রিয়তা।

কিন্তু গোটা বিশ্বে আসলে কতগুলো পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে?

এর সঠিক উত্তর জানা না গেলেও বিজ্ঞানীদের অনুমান, অন্তত ২ হাজার ৫৬টি পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ সমিতি বা ‘আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশন’ অনুসারে, ১ হাজার ৩০টি পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা করেছে যুক্তরাষ্ট্র একাই। আর এখন পর্যন্ত সত্যিকারের যুদ্ধে যে দুটি পারমাণবিক বোমা ফুটেছে, এর দুটোই ফুটিয়েছে দেশটি। এর বাইরে সোভিয়েত ইউনিয়ন বা রাশিয়া ৭১৫টি, ফ্রান্স ২১০টি, যুক্তরাজ্য ও চীন প্রত্যেকে ৪৫টি, উত্তর কোরিয়া ছয়টি, ভারত তিনটি এবং পাকিস্তান দুটি পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা করেছে।

১৯৬২ সাল পারমাণবিক বোমা নিয়ে পরীক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ‘টার্নিং পয়েন্ট’ ছিল বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিজ্ঞানভিত্তিক সাইট লাইভ সায়েন্স। বিশ্বের অনেক মানুষ তখন পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে প্রতিযোগিতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেন ও জনগণের স্বাস্থ্যের উপর এ পরীক্ষার বিরুপ প্রভাব ফেলার বিষয়টি বুঝতে পারেন।

পরমাণু পরীক্ষার ভয়াবহ প্রভাব দেখেছে বিশ্ব। ১৯৫৪ সালের ‘ক্যাসল ব্রাভো’ নামের পারমাণবিক বোমা পরীক্ষার সময় প্রতিকূল বাতাসের পরিস্থিতি ও অনেক বেশি মাত্রার বিকিরণের ফলে ‘মার্শাল আইল্যান্ডে’র স্থানীয় জনগোষ্ঠী মারাত্মকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ে।

সব মিলিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন’সহ বিশ্বের ১০৮ টি দেশ পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা সীমিত করতে নিষেধাজ্ঞা চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।

সর্বশেষ ২০১৭ সালে পারমাণবিক বোমা নিয়ে পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া, যা ছিল জাপানের হিরোশিমায় ফেলা বোমার চেয়েও আটগুণ বেশি শক্তিশালী।

আবার কী শুরু হবে পরমাণবিক বোমার ব্যবহার?

পরমাণবিক বোমা নিয়ে পরীক্ষা না করলেও অনেক দেশের হাতেই রয়েছে পরমাণু অস্ত্র। বর্তমানে চীন, ফ্রান্স, ভারত, ইসরায়েল, উত্তর কোরিয়া, পাকিস্তান, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র, এই নয়টি পরমাণু শক্তিধর দেশ রয়েছে বিশ্বে। যাদের কাছে সবমিলিয়ে আছে প্রায় ১৩ হাজার পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্র।

উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিকতম এই পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে তৈরি করেছে উদ্বেগ। দক্ষিণ কোরিয়া বা বিশ্বের অন্যান্য পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলো যদি নিজেদের অস্ত্র পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় তবে তা পারমাণবিক শক্তিধর বিভিন্ন দেশকে এ বোমার পরীক্ষা পুনরায় শুরু করতে উৎসাহিত করবে।

“পারমাণবিক বোমা নিয়ে আবার পরীক্ষা শুরুর বিষয়টি বিশ্বের শান্তির জন্য অত্যন্ত উস্কানিমূলক ও পশ্চাদমুখী পদক্ষেপ হবে,” বলেছেন ‘ইন্টারন্যাশনাল ফিজিশিয়ানস ফর দ্য প্রিভেনশন অফ নিউক্লিয়ার ওয়ার’-এর সাবেক সহ-সভাপতি টিলম্যান রাফ।

মাহাতাব

×