ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১

নবান্নের সুঘ্রাণ হেমন্তে

প্রকাশিত: ২০:৩০, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

নবান্নের সুঘ্রাণ হেমন্তে

মাঠ থেকে নতুন ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে কৃষক

আবহমান বাংলায় শীতের ছোঁয়া

আবহমান বাংলায় চির সবুজ বাঙালি জীবনের স্পন্দন, শীতের ঊষালগ্নে শুরু হয়েছে হেমন্তকাল। পঞ্জিকাবর্ষের চতুর্থ ঋতু। প্রকৃতিতে বার্তা নিয়ে শীতকাল আসবে বাঙালির জীবনে। সাধারণত কার্তিক-অগ্রহায়ণ দুই মাস প্রকৃতিতে হেমন্তের আগমন ঘটে। এরই মধ্যে আভাস মিলেছে। প্রান্তিক কৃষকের ধানের সবুজ পাতায় শিশিরবিন্দুর চুম্বন, চোখের সামনে ভরা আকাশ, দিনের সময়কাল ছোট হয়ে আসা, দিনান্তে কুয়াশার পটভূমিতে সূর্যের অস্ত যাওয়া; আর সন্ধ্যা নামতেই শীত শীত অনুভূতি। তাই হেমন্তের শুরুতে বঙ্গোপসাগরের কোলে জেগে ওঠা নোয়াখালীর ভাসানচর, নিঝুম দ্বীপে শরতের শেষ দিনগুলোর সঙ্গে হেমন্তের প্রথম দিনগুলোর সখ্য তো আছেই। দক্ষিণের জনপদের মতো উত্তরের জনপদেও যেন শুরু হয়ে গেছে শীতের দিন। সূর্যোদয়ের পর থেকেই আকাশ মেঘলা হওয়ার পাশাপাশি রাতভর ঝরছে হালকা কুয়াশা। সেই কুয়াশা থাকছে সকাল পর্যন্ত। তাপমাত্রা নেমে এসেছে ২২-২৩ ডিগ্রিতে। ইতোমধ্যেই শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষেরা ছুটছেন কাজের খোঁজে। ঘন কুয়াশার আবহে ভোরে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলছে সম্মুখের বাতি জ্বালিয়ে।

হেমন্তের প্রথম মাস কার্তিক একসময় আবহমান বাংলার জনপদে আসত অভাবের বার্তা নিয়ে। জন্যমঙ্গানামক শব্দটির ঠাঁই হয়েছে অভিধানে। আমন ধান কাটা শুরু হয় মূলত কার্তিকের শেষে, অনেকটা অগ্রহায়ণজুড়ে। এই মাসে শাকসবজি-তরিতরকারি উৎপাদনের ঘাটতি চোখে পড়ে। এবার ঘাটতি আরও বেশি। অসময়ে অতিবৃষ্টি উজান থেকে আসা ঢলের পানিতে সৃষ্ট প্রলয়ঙ্করী বন্যায় বৃহত্তর নোয়াখালীতে ফসলহানি এর অন্যতম কারণ।

অগ্রহায়ণ ফসল কাটার ঋতু। মাসে মূলত কাটা হয় আমন ধান। মাঠে মাঠে আমন ধান কাটতে থাকা কৃষকের খুশি উঠে এসেছেকত গানকবিতায়। রবি ঠাকুর যেমনটা লিখেছেন, ‘ধরার আঁচল ভরে দিলে প্রচুর সোনার ধানে, ...

ধান কাটা, এরপর মাথায় নিয়ে বাড়ি ফেরা, মাড়াই করা, রাত জেগে সেদ্ধ করা, উঠানের জলজল রোদে তা শুকানো, এরপর গোলায় ভরা-ঝক্কি কম নয়, তবু রয়েছে বিশাল প্রাপ্তির প্রত্যাশা। দিন কিছুটা বদলেছে। কৃষিতে এসেছে প্রযুক্তির ব্যবহার। মেশিন দিয়ে কাটা হচ্ছে জমির ধান; পরবর্তী প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হচ্ছে যান্ত্রিক উপায়ে। তবে সময়ে ধান কাটার শ্রমিকের সংকটও বড় সমস্যা। দিনে ৯৫০-১০৫০ টাকা মজুরি দিয়েও শ্রমিক মেলা ভার। ভাসানচর থেকে এক তরুণ শ্রমিক বাস থেকে সোনাপুর নামার পর প্রতিবেদকের সাথে আলাপে জানা গেছে, এবার টাকা পয়সা কেমন পেয়েছেন? সে উত্তর করলেন, ‘গেছিনু মফিজ হয়া, আর আসিনু হাফিজ হয়া।অর্থাৎ তিনি গিয়েছিলেন বাসের ছাদে চড়ে দরিদ্রবেশে, আর ফিরে এসেছেন সিটে বসে কড়কড়ে নোট গুঁজে।

বাংলায় হেমন্ত রোমান্টিক ঋতু। মনোরম আকাশ, শীতল বাতাস, মাঠে মাঠে সোনার ফসল। আবার পানি কমতে থাকা খালে-বিলে ধরা পড়ে কই, শিং, মাগুর, শোল টাকির মতো দেশি প্রজাতির মাছ। যদিও দুর্মূল্যের কারণে তা সাধারণের পাতে ওঠার জো নেই। এটা ভ্রমণেরও মাস। ডিসেম্বর মাসে স্কুলে পরীক্ষা শুরুর আগে এই মধ্য অক্টোবরে অনেকেই দুই বা তিন দিনের জন্য বেড়াতে বের হন। এবারও হয়েছেন অনেকে। তবে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির কারণে পাহাড়ি জনপদে যাওয়া আপাতত নিষেধ। তাই চায়ের দেশ সিলেট আর সাগরকন্যা কুয়াকাটা কক্সবাজারকে এখন করতে হচ্ছে প্রধান গন্তব্য। তবে নভেম্বর থেকে বিধি-নিষেধের বেড়াজাল উঠে যাবে-এমন প্রত্যাশা আমাদের।

বৃহত্তর জেলার প্রায় অর্ধকোটি বাসিন্দাদের অনেকেই জানেন না, গ্রামীণ জনপদে এখনো হেমন্ত আসে চিরচেনা রূপেই। পড়ন্ত বিকেলে খেজুরগাছে গাছি ভাইয়ের কলস বাঁধতে যাওয়া, মুয়াজ্জিনের সু-মধুর কণ্ঠে আজানের পূর্বে সুবহে সাদিকের পরপরই ঠান্ডা রস নামিয়ে আনা, তো শুরু হয়ে যায় অগ্রহায়ণ থেকেই। কোনো কোনো বাড়িতে এখনো পাওয়া যায় ঢেঁকির শব্দ।

নতুন ধান ওঠার পর পিঠা-পায়েস বানানোর যে আয়োজন শুরু হয়, তা চলে পৌষ-মাঘ অবধি। ছাড়া ভাইফোঁটা, কার্তিক পূর্ণিমা দীপাবলির মতো উৎসব তো আছেই। হেমন্তে আমাদের এই জনপদে দূর দেশ থেকে আসে হাজারো পরিযায়ী পাখি। কিছু পাখি এখানে খায়দায়, সংসার পাতে। শীতের শেষে আবার ফিরে যায় সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে ওদের জন্মভূমিতে। পরিযায়ী পাখিরা বাঙালির হেমন্ত-শীতের মেহমান চির সবুজ বৃহৎ আকাশে ঘোরা পাখিরা। ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মার প্রতি দুলাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত এক লাখ সাতচল্লিশ হাজার ছয়শত দশ বর্গকিলোমিটারের জনপদ।

হেমন্ত প্রকৃতিতর মতোই শান্ত হোক গ্রামীণ জনপদ। হেমন্তের রোদের মতোই হেসে উঠুক বাংলাদেশ।

গিয়াস উদ্দিন ফরহাদ, নোয়াখালী

কাশফুলের শুভ্রতায় ধলেশ্বরীর পাড়

সাটুরিয়া উপজেলার কাছের এলাকা হলো টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের মোকনা এলাকা। এলাকাটির বুক চিরে বয়ে গেছে বিশাল এক নদী। নদীটির নাম ধলেশ্বরী নদী। এই অঞ্চলটি নদীবেষ্টিত অঞ্চল হওয়ায় বছরের প্রায় সময়ই ভ্রমণপিপাসুদের পদচারণে মুখরিত হয়ে থাকে। বিশেষ করে বর্ষা আর শরৎতে প্রকৃতি যোগ করে ভিন্ন এক সৌন্দর্যের। বর্ষাকালে নদীর স্বচ্ছ পানিতে সারি সারি নৌকা আর শরৎতে নদীর ধারের সাদা কাশফুলের দোলা যে কারোরই মন ছুঁয়ে যাবে।

শরৎ শেষ হয়ে হেমন্ত শুরু হলেও এখনো ধলেশ্বরী নদীর তীরের কাশফুলের শুভ্রতায় মুগ্ধতা খুঁজছেন দূর-দূরান্ত থেকে ঘুরতে আসা ভ্রমণ পিপাসুরা।

ছয় ঋতুর দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। প্রতিটি ঋতুর রয়েছে আলাদা রূপ বৈচিত্র্য। আর তাই প্রকৃতির ধারাবাহিকতায় শরৎ আসে তার নিজস্ব সৌন্দর্য নিয়ে। নদীর পাড়ের কাশফুলের দোল দেখে মনে হয়, যেন আকাশের সাদা মেঘের সঙ্গে শরৎ একই সুতোয় বাঁধা। ঝকঝকে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘের ভেলা, সূর্যের আলোর ঝিলিক আর কাশফুলের শোভা সবই যেন শরৎকালকে ঘিরেই। যান্ত্রিকতা জীবনের কোলাহল আর নানা ব্যস্ততার মাঝে কাশফুলের সৌন্দর্য যেন দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে তোলে।

শুধু নদীর তীরেই নয় বরং বিল-জলাশয়, মাঠ আর উঁচু জমিতেও কাশফুল ফুটতে দেখা যায়। কাশফুল এই অঞ্চলের জনপ্রিয় ফুলের মধ্যে একটি। এটি একটি ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ। একটি ঘাস তার ফুলের সৌন্দর্য দিয়ে আমাদের শিখিয়েছে কোমলতা সরলতা। ঋতুচক্রে স্বপ্ন শুভ্রতার প্রতীক হয়ে শরৎ আসে। দূর্বাঘাসে শিশিরের আলপনা জাগে। শরতের শান্ত প্রকৃতি, গাঢ় নীল আকাশ শুভ্র প্রাণে কাশফুলের ছোঁয়া আমাদের মুগ্ধতা ভালোবাসা শিখায়।

সাহিত্যের ভাষায় শরৎ মানেই নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর কাশফুলের শুভ্রতা। প্রতিবছরই শরৎ প্রকৃতিকে সাজিয়ে তোলে কাশফুলের এক অপরূপ সৌন্দর্যে। কাশফুল পছন্দ করে না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ঋতুচক্রে সাধারণত বর্ষার কদমফুলের দিন শেষ হতে না হতেই শরতের কাশফুলের দেখা মেলে এই ধরণীতে। কাশবাগানে বাতাসের সঙ্গে কাশফুলের গাছ দোলতে দেখে কতই না সুন্দর লাগে।

অনেক কবিরাই কাশফুলের সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে কাশফুলকে মেয়েদের পরিহিত গয়নার সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ‘কাশফুল হচ্ছে অনেকটাই মেয়েদের পরিহিত গয়নার মতো, যে গয়না পরার মাধ্যমে নদীর দুই পাড় সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ হয়ে থাকে

কাশফুল নিয়ে কবি নির্মলেন্দু গুণ  লিখেছেন, খেতের আলে নদীর কূলে, পুকুরের ওই পাড়টায়, হঠাৎ দেখি কাশ ফুটেছে বাঁশবনের ওই ধারটায়। উচ্চ দোলা পাখির মতো কাশবনে এক কন্যে, তুলছে কাশের ময়ূর চূড়া কালো খোঁপার জন্যে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ধলেশ্বরী নদীর তীরবর্তী এই কাশফুলের মাঠে নানা বয়সি মানুষ মেতে উঠেছে আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে। কাশবনে মৃদু বাতাসে প্রকৃতিপ্রেমী নারী-পুরুষের লুকোচুরির খেলা। তারা যেন মুক্ত বিহঙ্গের মতো কাশবনে উড়ে বেড়াচ্ছে। কেউ আসছে প্রেমিক-প্রেমিকা নিয়ে, কেউ আসছে পরিবার বা বন্ধুবান্ধব নিয়ে। প্রতিদিনই শত শত দর্শনার্থী কাশবনে ফুলের শুভ্রতার সৌন্দর্য উপভোগ করছে। পাশাপাশি ভ্রমণ প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের সাক্ষী হতে নিজেদের ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দি করছে।

প্রতিদিনই বেলা গড়াতেই লোকসমাগমে জমে ওঠে ধলেশ্বরী নদী পাড়ের এই এলাকাটি। কাশফুলের শুভ্রতা খুঁজতে সেখানে বসে কেউ গল্প করছেন, কেউবা আবার কাশফুলের সঙ্গে তুলছেন ছবি। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেশি দেখা যায়।

সাটুরিয়া উপজেলার দড়গ্রাম ইউনিয়নের তেঘুরী গ্রাম থেকে ঘুরতে আসা তনয় মাহমুদ বলেন, প্রতিবছরই এখানে বেড়াতে আসি। এখানে আসলে দেখা যায় সারি সারি সাদা কাশফুলের বন। যতদূর চোখ যায় শুধু সাদা আর সাদা। ছাড়াও জায়গাটি অনেক দূর থেকে দেখলে মনে হয় মাটিতে লুটে পড়েছে সাদা মেঘের ভেলা।

টাঙ্গাইল শহর থেকে পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে আসা সুবর্ণা সাহা নামের এক দর্শনার্থী বলেন, শাদীয় ঋতুতে কাশফুল ফোটে, মুগ্ধতা ছড়ায় প্রাণ প্রাকৃতিতে। বড্ড অবহেলায় নদীর ধারে ফোটে এই সৌন্দর্য বর্ধনকারী কাশফুল। দূর থেকে কাশবনের দিকে তাকালে মনে হয়, যেন সাদা মেঘগুলো নেমে এসেছে ধরণীর বুকে। সামান্য বাতাসে কাশফুলগুলো যখন এদিক- সেদিক দোলে তখন মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই।

কথা হয় এখানে ঘুরতে আসা সাটুরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের একদল শিক্ষার্থীর সঙ্গে। তারা বলেন, এই কাশফুল আমাদের শৈশবের নানা স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। যদিও এর নিজস্ব কোনো গন্ধ নেই। তবুও বিস্ময়কর এক অনুভূূতিতে কাছে টানে। কাশফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে বারবার এখানে ছুটে আসতে মন চায়।

স্থানীয় বাসিন্দা মিনহাজ উদ্দিন বলেন, নদীর ধারে প্রতি বছর কাশফুল ফুটলেও এবারের কাশফুলের পরিমাণ গত কয়েক বছরের চেয়ে কম। তবুও এই কাশফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে দলে দলে ছুটে আসেন মানুষ। বিশেষ করে শুক্রবার শনিবার ছুটির দিনগুলোর বিকেলে মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে এই জায়গা।

কাশফুল মূলত এক ধরনের ছন গোত্রীয় ঘাস। নদীর ধার, জলাভূমি, চরাঞ্চল, শুকনো রুক্ষ এলাকা,পাহাড় কিংবা গ্রামের কোনো উঁচু জায়গায় কাশের ঝাড় বেড়ে ওঠে।তবে নদীর তীরেই এদের বেশি জন্মাতে দেখা যায়।

এর কারণ হলো নদীর তীরে পলিমাটির আস্তর থাকে এবং এই মাটিতে কাশের মূল সহজে সম্প্রসারিত হতে পারে। মূলত শরৎ ঋতুতে সাদা ধবধবে এই কাশফুল ফোটে।

বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই এই কাশফুল দেখতে পাওয়া যায়। কাশফুল পাখির পালকের মতো নরম এবং ধবধবে সাদা রঙের। গাছটির চিরল পাতার দুই পাশ খুবই ধারালো। এছাড়া কাশফুলের রয়েছে নানা ব্যবহার গ্রামীণ জ্বালানি বা পানের বরজের ছাউনি হিসেবে কাশের ব্যবহার হয়ে আসছে বহু বছর ধরে।

চিকিৎসা ক্ষেত্রেও রয়েছে কাশফুলের বহুমুখী ব্যবহার। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের মতে, কাশফুলের বেশ কিছু ঔষধি গুণ রয়েছে। যেমন-পিত্তথলিতে পাথর হলে নিয়মিত গাছের মূলসহ অন্যান্য উপাদান দিয়ে ওষুধ তৈরি করে পান করলে পিত্তথলির পাথর দূর হয়। কাশমূল বেটে চন্দনের মতো নিয়মিত গায়ে মাখলে গায়ের দুর্গন্ধ হয় না। এছাড়াও শরীরে ব্যথানাশক ফোঁড়ার চিকিৎসায় কাশের মূল ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

পর্যটকদের আনাগোনায় বিকাল বেলায় ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে অস্থায়ী কিছু খাবারের দোকান বসে। যেখানে ঝালমুড়ি, চটপটি, ফুসকা, আইসক্রিমসহ নানান ধরনের খাবার পাওয়া যায়। সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আগের তুলনায় এখন কাশবন কমে যাওয়ার পেছনে মূল কারণ হলো জলবায়ুর পরিবর্তন।

ছাড়াও প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা কোনো কিছুর পরিবর্তন প্রাকৃতিক পরিবেশের পরিবর্তনই নির্দেশ করে। তাছাড়া নদীর তীর দখল হয়ে যাওয়া নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে বিভিন্ন ফসলের আবাদ করার ফলেও কাশফুলের বন দিনদিন কমছে বলে তিনি জানান।

মো. মাহবুবুর রহমান রানা, সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ

 

 

 

×