ছাতিম গাছে ফুল ধরেছে। ছবি: জনকণ্ঠ
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার বাস স্ট্যান্ড সংলগ ভিআইপি কলোনির সামনে বাকেরগঞ্জ বরগুনা আঞ্চলিক সড়কের পাশে ছাতিম গাছে ফুল ধরেছে। হালকা বাতাসে ভেসে আসে ছাতিমের ঘ্রাণ।
সকাল সন্ধ্যা থেকে শুরু করে রাতের পুরো সময়টায় এ ঘ্রাণ ছড়ায়। গাছভর্তি ফুলেরা যেন হাসছে! তাদের সবুজপাতার অগ্রভাগ দেখার উপায় নেই। দেখে যেন মনে হয় এ যেন ফুলের মেলা।
ফুলগুলো যেন প্রতিযোগিতামুখর হয়ে পাতাদের পেছনে ফেলে সামনে এসে পড়েছে। প্রকৃতিতে বয়ে বেড়ানো হালকা বাতাসের সঙ্গে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে ছাতিম ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণ। সেই ফুলের সুবাসে মুগ্ধ পথচারী। গাছভরা ছাতিম ফুল দেখে চোখ জুড়ায় পথচারীদের।
এমন ফুলের তীব্র সুঘ্রাণ শহরের খুব কম এলাকাতেই দেখা যায়। সাদা সাদা ফুলে ঢেকে থাকে পুরো গাছ। গাছের দিকে তাকালে দেখা যায়, সারা গাছ ছেঁয়ে থাকা গুচ্ছ গুচ্ছ সাদা ফুল।
যাত্রাবিরতি টেনে কিছুক্ষণ এমন ফুলেদের দিকে না তাকিয়ে থাকার কোনো উপায় নেই পথিকের। কাছে এসে দাঁড়ালেই সবুজ-সাদা গুচ্ছ গুচ্ছ ফুলের ভেতর থেকে তীব্র ঘ্রাণ।
এই ফুলের সংস্কৃত নাম সপ্তপর্ণী। স্থানীয় নাম ছাতিয়ান, ছাইত্তান, ছাতনি প্রভৃতি। বৈজ্ঞানিক নাম Alstonia scholaris। এদের জন্মস্থান ভারত, চীন ও মালয়েশিয়া। বাংলাদেশে শরৎ ও হেমন্তকাল ফুল ফোটার সময়।
স্থানীয়রা বলেন, উৎকৃষ্ট জ্বালানি, আসবাবপত্রে ব্যবহার এবং সর্বোপরি বাক্স-প্যাকিং ও দেশলাইয়ের কাঠিতে ব্যবহৃত হওয়ায় প্রচুর পরিমাণে এই ছাতিম গাছগুলো কাটা পড়ছে। ফুল ফুটে থাকলে গাছগুলোর চারদিক তীব্র গন্ধে মুখরিত হয়ে যায়।
গাছটির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুনিতী সাহা বলেন, গাছটির উচ্চতা পনের-বিশ মিটার। এ চির সবুজ গাছটি দুধকষে ভরা। মসৃণ পাতার দৈর্ঘ্য প্রায় আঠারো সে.মি। পাতার উপর উজ্জ্বল সবুজ, নিচ সাদাটে। ছাতিম গাছের রয়েছে নানা ঔষধি গুণ এই গাছের ছাল ও আঠা জ্বর, হৃদরোগ, হাঁপানি, আমাশয় প্রভৃতি রোগে বিশেষভাবে কার্যকর। ভেষজশাস্ত্রে এই বৃক্ষের কদর রয়েছে।
এসআর