ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

চট্টগ্রামে নিয়ন্ত্রণহীন সবজির  বাজার, সামর্থ্যরে  বাইরে মাছ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস

প্রকাশিত: ২২:২৯, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামে নিয়ন্ত্রণহীন সবজির  বাজার, সামর্থ্যরে  বাইরে মাছ

.

চট্টগ্রামে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না মাছ-সবজির দাম। সরবরাহ সংকটের অজুহাতে প্রতিদিনই ঊর্ধ্বমুখী থাকে দাম। এরমধ্যে সাপ্তাহিক ছুটির দিন মানে অসাধু ব্যবসায়ী ও বিক্রেতাদের জন্য পোয়াবারো। বিভিন্ন অজুহাতে দাম বৃদ্ধি করে ভোক্তাদের গলা কাটেন চট্টগ্রাম মহানগরীর রেয়াজুদ্দিন বাজার, বক্সিরহাট, কাজির দেউড়িসহ বাজারগুলোর বিক্রেতারা। এখনো আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। একইভাবে বেড়েছে করলা, পটোল, টমেটো এবং বেগুনের দাম। 
চট্টগ্রামের অলিগলি থেকে নামিদামি বাজার পর্যন্ত করলা বিক্রি হয়েছে কেজি ১শ থেকে ১২০ টাকায়। প্রতিকেজি বেগুন বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১শ টাকায়। ঢেঁড়সের কেজি ৮০ টাকা, পটোল ৭০, কাঁকরোল ৮০ থেকে ১শ, বরবটি ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 
ভয়াবহ অবস্থা মাছের বাজারের। চট্টগ্রামের বাজারে নেই মিঠা পানির মাছ। যেসব রুই-কাতলা আছে তার দাম অনেক। প্রতিকেজি রুই মাছ বিক্রি হয়েছে ২৭০ থেকে ৪শ টাকায়। অবশ্য বার্মা থেকে আমদানি করা রুই বিক্রি হয়েছে ৩৮০ টাকা। মাঝারি আকারের কাতলা মাছ ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা। তবে ভারত থেকে আমদানি করা বড় কাতলা ৪শ টাকা। আমদানি করা পাবদা ৪শ, রূপচাঁদা ৫৫০ থেকে সাড়ে ৭শ, চিংড়ি ৫শ থেকে ৮শ, তেলাপিয়া ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা, লইট্ট্যা ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, পোয়া মাছ মান ও আকারভেদে ২শ থেকে ৪৫০ টাকা। পাঙ্গাশ ১৫০ থেকে ২শ টাকা বিক্রি হয়েছে। অপরদিকে রুপালি ইলিশের দেখা মিললেও দাম নাগালের বাইরে। এককেজি ওজনের ইলিশ কমপক্ষে দেড় হাজার টাকা। ৫শ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে হাজার টাকায়।
মাছ বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বন্যায় মাছের ঘের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুকুর ও মৎস্য চাষের জলাশয় ডুবে যাওয়ায় মাছ বেরিয়ে গেছে। ফলে বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে মাছ আসছে না চট্টগ্রামে। আশপাশের উপজেলা থেকে নামেমাত্র রুই-কাতলা এলেও চট্টগ্রামের বাজারে সবধরনের মাছের সংকট। সামুদ্রিক মাছ দিয়েই বর্তমানে চাহিদা মেটানোর চেষ্টা চলছে। তবে দামের কারণে নিম্নবিত্ত মানুষেরা মাছ কেনার সামর্থ্য হারাচ্ছেন, কেননা ২শ টাকার নিচে কোনো মাছই মিলছে না। অপরদিকে লাগামছাড়া সবজির বাজারে কোনো ধরনের তদারকি না থাকায় পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা নিত্যনতুন অজুহাতে দাম বৃদ্ধি করছে।

×