ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১

বায়ান্ন বাজার তপ্পিান্ন গলি

মোরসালিন মিজান

প্রকাশিত: ০০:৪০, ৯ আগস্ট ২০২৪

বায়ান্ন বাজার তপ্পিান্ন গলি

রাজধানীতে দিন দিন কমছে পাখি। পত্রপল্লবহীন বৃক্ষ শাখায় বসে ডাকছে কাক

রাজধানী ঢাকায় পাখি তেমন নেই। দিন দিন কমছে। গাছগাছালি আছে এমন জায়গা দিয়ে যাওয়া আসার সময় কিছুটা কিচির মিচির শোনা যায় বটে। বাকি জায়গাগুলো পাখিশূন্য। তবে কাকের অভাব কখনো হয়নি এ শহরে। এখনো কাকের সংখ্যাই সর্বাধিক। যেদিকে তাকানো যায় কাক আর কাক। বৃহস্পতিবার ইন্দিরা রোড এলাকা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় একটি কর্কশ ‘কা কা’ ডাক খুব কানে এসে লাগছিল। চোখ তুলে তাকাতেই দেখা গেল পত্রপল্লবহীন বৃক্ষ শাখায় বসে চেঁচিয়ে যাচ্ছে কাকটি।

একা একটি কাক। কিন্তু গোটা এলাকা মাথায় তুলেছিল। ছোঁ মেরে ঠোঁটে তুলে নিচ্ছিল খাবারও। নিচ থেকে খাবার তুলে নিয়ে আবার ডালে এসে বসছিল। গাছের ডালপালার ফাঁক দিয়ে দেখা আকাশটাকেও কেমন যেন বিষণœ মনে হচ্ছিল এদিন। মাত্র ক’দিন পর শরৎ। শরতের আগে আগে নীল হতে থাকে আকাশ। কিন্তু এদিন কিছুটা নীল থাকলেও, ক্ষণে ক্ষণে গ্রাস করেছিল কালো মেঘ। কঙ্কালসার শুকনো গাছের ডালগুলোও যেন বুকে বিঁধেছিল আকাশের। লম্বা সময় তাকিয়ে থেকে এই আকাশে পাখির দেখা মিলল না! দোয়েল ময়না টিয়া কোকিল শালিক বুলবুলি টুনটুনি ছাড়া আকাশ কী আর আকাশ থাকে!  
কবে ফিরছে ট্রাফিক পুলিশ ॥ সারাদেশের কোথাও পুলিশ নেই। নেই বললেই চলে। একইভাবে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ট্রাফিক পুলিশ। রাস্তায় দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীরা যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা নিজেদের মতো করে কাজটি করছে। এর ফলে সড়কের চেহারাটা আমূল বদলে গেছে। না, যানজট কমেনি। শৃঙ্খলা কিছুটা ফিরেছে। তবে ট্রাফিক পুলিশের আলাদা প্রশিক্ষণ থাকে। দক্ষতা থাকে। তাদেরই দায়িত্বে ফেরাতে হবে। দ্রুত ফেরানো জরুরি।

তার চেয়ে বড় কথা, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মন দিতে হবে। নিজেদের দেশ সেবার যোগ্য করে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্ম নেয়া বাংলাদেশ যোগ্য নেতৃত্ব ছাড়া বেশি দূর এগোতে পারবে না। আমরা এগোতে চাই। 
ডাকাতের ভয় ॥ সরকার পরিবর্তনের পর ঢাকায় হঠাৎ করেই ভয়ংকর ডাকাতি শুরু হয়েছে। ক’দিন ধরে চলা ডাকাতির ঘটনায় নগরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গভীর রাতে মাইকিং করে বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে এখনো। গত বুধবার গভীর রাতেও বিভিন্ন পাড়া মহল্লা থেকে ডাকাতির খবর এসেছে। এ অবস্থায় শক্ত করে কপাট বন্ধ করে ঘুমোতে যাচ্ছে মানুষ। কিন্তু এভাবে কতদিন? সুরাহা করার দাবি উঠছে নাগরিকদের পক্ষ থেকে।

×