ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১

ভবন নির্মাণে অনিয়ম বন্ধ হয়নি

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস

প্রকাশিত: ২০:২২, ২ আগস্ট ২০২৪

ভবন নির্মাণে অনিয়ম বন্ধ হয়নি

.

ভবন নির্মাণের সময় চারপাশে নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গা ছাড়ার নিয়ম থাকলেও সেটি মানা হয়নিসামনের সড়ক ঘেঁষে বিল্ডিংটি নির্মাণ করা হয়েছেনকশায় ৬ তলার অনুমোদন থাকলেও সাত তলার নির্মাণ চলছেইতোমধ্যে অর্ধেক নির্মাণ সম্পন্নও হয়েছেযশোর শহরের পোস্ট অফিস পাড়ার মুন্সী মিনহাজউদ্দীন সড়কের ওই ভবনটি নির্মাণের ক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘনের ব্যাপারে দুই দফা পৌরসভায় অভিযোগ করা হলেও কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ভবনের পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত কলেজে শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান পৌরসভায় দুই দফা অভিযোগ করেছেনকেশবপুর সরকারি কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহকারী অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামানের দাবি, নিয়ম লঙ্ঘন করে নির্মিত ভবনটির মালিক মাহফুজ্জামান মুক্তি

তিনি যশোর সদরের কচুয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা২০২২ সালের মাঝামাঝি তিনি ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু করেনশুরু থেকেই নিয়ম লঙ্ঘন করলেও তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি যশোর পৌর কর্তৃপক্ষযশোর পৌরসভার নকশাকার সুমন আহমেদ জানান, পোস্ট অফিস পাড়ার মুন্সী মিনহাজউদ্দীন সড়কে মাহফুজ্জামান মুক্তি ৬ তলা বাড়ি নির্মাণের জন্য প্লান পাস করিয়েছেনঅনুমোদিত নকশা অনুযায়ী তিনি ৬ তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করতে পারবেন

পৌরসভায় দুই দফায় করা লিখিত অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান বলেছেন, মাহফুজ্জামান মুক্তি ভবন নির্মাণের সময় চারপাশে একটুও জমি ছাড়েনিকোনো রকম নিয়ম না মেনে তিনি বাড়ি নির্মাণ করেছেনএতে তিনি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেনভুক্তভোগী মো. মনিরুজ্জামানের দাবি, পৌরসভায় অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা হয়নিনিয়ম না মেনে পাশের জমির মালিক ভবন নির্মাণ চালিয়ে গেছেনতিনি জানান, ২০২২ সালের ২৭ জুন পৌরসভায় তিনি একটি লিখিত অভিযোগ করেনএরপর চলতি বছরের ৩০ জুন আবারও আরেকটি অভিযোগ করেছেনকিন্তু এখনো পর্যন্ত পৌর কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়নিমো. মনিরুজ্জামান বলেন, যখন ওই বাড়িটির পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয় তখন আমার বাড়িটি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেঝাঁকুনিতে আমার বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কির পাইপ খুলে ভেঙে গিয়েছিলআমার বাড়িতে অনেক ফাঁটল সৃষ্টি হয় তখনএতে আমার অনেক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে

চারপাশ জাল দিয়ে ঢেকে ও নিরাপত্তা-মাচা তৈরি করে ভবন নির্মাণের বিধানও থাকলেও কখনো সেটি করা হয়নিভবনের কাজ চলাকালে নির্মাণ সামগ্রী অনেকবার আমার বাড়ির মধ্যে পড়েছেযশোর পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়, বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে চারপাশে জায়গা ছাড়ার ক্ষেত্রে পৌরসভার আইনে সুস্পষ্ট কিছু বলা নেইএক্ষেত্রে ন্যশানাল বিল্ডিং কোড- ১৯৯৬ এ বর্ণিত বিধি বিধান প্রযোজ্য

পৌরসভাটির শহর পরিকল্পনাবিদ সুুলতানা সাজিয়া জানান, নকশার অনুমোদন বিহীন ও নকশাবর্হিভূত ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা ভবন চিহ্নিত করে তালিকা প্রস্তুত চলছেবিধি মোতাবেক এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবেপোস্ট অফিস পাড়ার ওই বাড়িটির ব্যাপারে করা অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবেযশোর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম শরীফ হাসান জানান, অনুমোদিত নকশার বাইরে যেসব ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা হয়েছে; সেসব ভবনের মালিকদের তাদের লোড ক্যাপাসিটি ক্যালকুলেশন করে পৌরসভায় অবহিত করতে বলা হয়েছে

×