ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১

বর্ষাকালে ফুল গাছের যত্ন

মাজহারুল ইসলাম

প্রকাশিত: ০১:৫১, ১ জুলাই ২০২৪

বর্ষাকালে ফুল গাছের যত্ন

.

বর্ষাকাল মানে নানা রকম ফুলের সমারোহ আর নানা ফুলের ঘ্রাণে মাতিয়ে তোলার সময়। এই সময়ে প্রকৃতিও খুবই উপযোগী থাকে বিভিন্ন ফুলের চাষ করার। তবে শুধু চাষ করলে হবে না, সেগুলোর পর্যাপ্ত যত্ন নিতে হবে। সেজন্য রোদ, বৃষ্টি, ছায়া, বাতাস ইত্যাদি সহযোগী উপদানগুলো অনুকূলে আছে কিনা দেখতে হবে। বর্ষাকালে যেসব ফুল দেখা যায় তা হলো বেলি, জুঁই, টগর, দোলনচাঁপা, কামিনী, স্পাইডার লিলি, গন্ধরাজ, রজনীগন্ধা, কাঠগোলাপ, অপরাজিতা, দোপাটি, নয়নতারা, জবা ইত্যাদি। জলজ ফুল শাপলাও ফোটে বর্ষায়। কদম আর বকুলও এই মৌসুমের দারুণ দুটি ফুল। এই ফুলগুলো যেমন সুগন্ধি ছড়ায়, তেমনি সৌন্দর্যও বর্ধন করে। ছাড়া ইনডোর প্ল্যান্টের মতো পড়ার টেবিলের সঙ্গেও বোতল বা টবে /১টি ফুল গাছ রাখলে এটি দীর্ঘ সময় পড়াশোনার মানসিকতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

ফুল গাছ চাষ করার জন্য অল্প রোদ, পাানি এবং ছায়া প্রয়োজন। যা কিনা বাসার বারান্দায়ও করা যায়। তবে বর্ষাকালের পুরো পরিবেশটা এমন থাকে যার জন্য ফুল গাছের যতœ নিতে সুবিধা হয়। এরপরও এই সময়ে ফুল গাছ একটু অবহেলায় কিন্তু নষ্টও হতে পারে। কিভাবে নিবেন ফুল গাছের যতœ?

* ফুল গাছ রোপণের প্রথমে মাটিগুলোকে জৈব সারের সঙ্গে মিশ্রণ করার মতো উপযোগী করে নিতে হবে। তারপর জৈব সার মিশ্রণ করতে হবে।

* এবার মাটি এবং জৈব সার মিশ্রণ করে ফুল গাছটি লাগাতে হবে। সেক্ষেত্রে গাছের গোড়ার যেনো কোনো শিকড় নষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে মাটিতে রোপণ করতে হবে।

* গাছ লাগানোর পর এটি মাটির সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিজের পুষ্টি সংগ্রহ এবং বৃদ্ধির জন্য সালোক সংশ্লেষণ প্রয়োজন। সেজন্য পর্যাপ্ত রোদ প্রয়োজন। পরবর্তীতে গাছের বৃদ্ধি মোটামুটি হয়ে গেলে রোদ কিছুটা কম লাগলেও হবে।

* এরপর যখন গাছের বয়স একমাস হবে তখন থেকে দেখাশোনা খুব সতর্কের সঙ্গে করতে হবে। যার জন্য সরিষার খইল ভেজানো পানি, জৈবসার কিংবা ভার্মিকমপোস্ট- যেকোনো একটি প্রয়োগ করতে হবে। রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে চাইলে টিএসপি সার এক্ষেত্রে বৃহৎ বা মোটামুটি বৃহৎ গাছের জন্য চা চামচ টিএসপিই যথেষ্ট। তবে ছোট ফুল গাছের জন্য আরও কম দিতে হবে।

* রাসায়নিক সারের যদি বিকল্প কিছু খুঁজতে হয় তাহলে গাছের পাতাগুলোকে প্ল্যান্ট গ্রোথ রেগুলেটরের সাহায্যে স্প্রে করতে হবে। আর সময়টা হলো দেড় থেকে মাস অন্তত।

* মাসে একবার পাতায় মাকড়নাশক স্প্রে করা ভালো।

* ফুল গাছের গোড়া নরম হওয়াতে এরা বেশি পানি সহ্য করতে পারে না। তাই অতিরিক্ত পানি জমতে দেওয়া যাবে না।

* আর টবের ফুল গাছ হলে পরিমাণ করে নিয়মিত পানি দিতে হবে। তবে পানি যেন না জমে।

* আর নিয়মিত ভাইরাসে আক্রান্ত পাতা এবং পচে যাওয়া পাতা কেটে ফেলতে হবে।

* আর যদি গাছের গোড়ায় পানির জন্য গাছ নুয়ে পড়তে থাকে, তাহলে একটা বাঁশের খুঁটি দিয়ে সোজা করে দিতে হবে।

এই গরমে রংপুরের কারুপণ্য কারখানা বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। ভবনের ভিতরে বাইরে অসংখ্য গাছ জলাধার তৈরি করে এমনভাবে কারখানাটি তৈরি করেছে যে, ভিতরে কোনো এসি বা ফ্যানের প্রয়োজন নেই। ইচ্ছে থাকলে নগরায়নের মাঝেও প্রকৃতিকে রক্ষা করা যায়- এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুগে এটি একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। এতে বিদ্যুৎও সাশ্রয় হচ্ছে। তাই পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা আমাদেরই করতে হবে।

×