ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১

কর্মক্ষেত্র হয়ে যাক স্বস্তির কেন্দ্রবিন্দু

প্রকাশিত: ০১:৫০, ১ জুলাই ২০২৪

কর্মক্ষেত্র হয়ে যাক স্বস্তির কেন্দ্রবিন্দু

.

একজন চাকরিজীবীর জন্য কর্মক্ষেত্র বা কাজের স্থানের ভূমিকা অপরিহার্য। দিনের প্রায় এক তৃতীয়াংশ সময় কাটানো হয় নির্ধারিত অফিসে, সহকর্মীদের সঙ্গে। নতুন কাজে যোগদানের ক্ষেত্রে অথবা বদলির সুবাদে নতুন কর্মপরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়ে যান কেউ কেউ। কিন্তু চাইলেই কিছু সাধারণ বিষয় মেনে চলার মাধ্যমে খুব সহজেই কাজের পরিবেশকে করে নিতে পারেন আপনার স্বস্তির অংশ হিসেবে। কর্মক্ষেত্রের এই সাধারণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন পূবালী ব্যাংকের ডেপুটি জুনিয়র

অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস নাসরিন

 

* ব্যক্তিত্বের সদ্ব্যবহার : সুন্দর ব্যক্তিত্বের বহির্প্রকাশই আপনাকে করে তুলতে পারে অনন্য। সিনিয়র এবং সহকর্মীদের সম্মান দিয়ে কথা বলা, নমনীয় আচরণ, ধৈর্যের সঠিক প্রয়োগ, প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োজনে স্বেচ্ছায় সহকর্মীর সাহায্যে এগিয়ে আসা, অফিস স্টাফ বা নি¤œ পদস্থ কর্মচারীদের সঙ্গে যথাযথ ব্যবহার ইত্যাদি আচরণের মাধ্যমে আপনি সহজেই হয়ে উঠতে পারেন সকলের পরিচিত এবং প্রিয়মুখ। বিনিময়ে উল্টোদিক থেকে আসা সকলের ইতিবাচক ব্যবহারও আপনার কাজের পরিবেশকে করে তুলবে সহজ স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ।

* কাজের প্রতি সততা : প্রাতিষ্ঠানিক যে কাজটির জন্য আপনাকে নিয়োজিত করা হয়েছে বা আপনি নিযুক্ত, সে কাজটির প্রতি সৎ মনোভাব থাকা একান্ত প্রয়োজন। সিনিয়রদের কাছ থেকে কাজ শিখে নেওয়া এবং কোনো প্রকার অসৎ উপায় অবলম্বন না করে সেই কাজটি নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করা উচিত। এই কাজটির মাধ্যমেই আপনি হয়ে উঠতে পারেন আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা বসের কাছে একজন ভরসাযোগ্য প্রতিনিধি। কাজের প্রতি এই একনিষ্ঠ মনোভাব শুধুমাত্র আপনার কাজের পরিবেশকেই সুন্দর করে তুলবে তা নয়, আপনার ভবিষ্যৎ পদোন্নতির ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখতে সাহায্য করবে।

* যোগাযোগে দক্ষতা : কর্মস্থলে যোগাযোগে দক্ষতা বা কমিউনিকেশন স্কিলস অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে থাকে। গ্রাহক থেকে শুরু করে বস, সহকর্মী প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলার দক্ষতা অর্জন করে নেওয়াটা জরুরি। যার যোগাযোগ দক্ষতা যতো বেশি, কর্মস্থলে সে নিজেকে ততো বেশি এগিয়ে রাখতে পারেন। এছাড়াও প্রাতিষ্ঠানিক কাজে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রেও কমিউনিকেশন স্কিলস অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

* নতুনত্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার মনোভাব : বাসা বা পুরনো অফিসের পাঠ চুকিয়ে নতুন কাজে যোগদানের পূর্বেই নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করে নেয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ। নতুন কাজ, অফিসের পরিবেশ, সহকর্মী সবার সঙ্গে মানিয়ে চলার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব আপনার ভবিষ্যৎ পথচলাকে করবে সহজ সুগঠিত।

* ভারসাম্য বজায় রাখা : একজন কর্মজীবীকে অবশ্যই ব্যক্তিগত প্রাতিষ্ঠানিক কাজের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে হবে। অফিসের জন্য নির্ধারিত সময়ে ব্যক্তিগত বিষয়গুলো থেকে নিজেকে যতটা সম্ভব দূরে রেখে কাজের প্রতি পূর্ণ মনোনিবেশ করা উচিত। তেমনি বাসায় ফিরে অফিসের কাজ থেকে নিজেকে দূরে রেখে পরিবারের সঙ্গে সময় উপভোগ করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। এছাড়া অফিসে বসে কাজে ফাঁকি দিয়ে ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জারসহ অন্যান্য সাইট ভিজিট করা থেকেও বিরত থাকতে হবে। এভাবেই ভারসাম্য বজায় রাখার মাধ্যমে আপনি নিজেই আপনার কর্মস্থলকে করে তুলতে পারেন বন্ধুত্বপূর্ণ সহায়ক।

×