ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১

আরও এক মাস পর গাড়ি চলবে কালুরঘাট সেতুতে

​​​​​​​স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১৯:৫৭, ২৮ জুন ২০২৪

আরও এক মাস পর গাড়ি চলবে কালুরঘাট  সেতুতে

কালুরঘাট সেতুতে পিচ ঢালাইয়ের কাজ চলছে

কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্মিত কালুরঘাট সেতু দিয়ে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী এবং পটিয়া রাঙ্গুনিয়ার প্রায় প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষ চট্টগ্রাম নগরে আসা-যাওয়া করতেন। সেতু সংস্কার কাজের জন্য বন্ধ করে দিয়ে ফেরি নৌকা চলাচল শুরু করে। এতে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অঞ্চলের মানুষের।

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংস্কারকাজ শেষ করে গাড়ি পথচারী পারাপারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার কথা থাকলেও নানা অজুহাতে এখনো কালুরঘাট সেতুর সংস্কারকাজ এখনো শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দাদের যাতায়াত ভোগান্তি বাড়ছেই। তবে, ঈদুল আজহার আগে পথচারী পারাপারের জন্য আলাদাভাবে করা হাঁটার পথ খুলে দেওয়ায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে তাদের।  

এদিকে, সেতুটিতে যান চলাচলের জন্য উপযোগী করতে অন্তত আরও এক মাসের সময় প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। 

তারা জানান, সেতুর পিচঢালার কাজ (কার্পেটিং) এখনো ২৫ শতাংশ বাকি রয়েছে। ছাড়া ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধে সেতুর দুই প্রান্তে উচ্চতা প্রতিবন্ধকতা বসানো হবে। এই কাজ করতে সময় লাগবে।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর ১৯৩১ সালে নির্মিত হয় কালুরঘাট রেল সেতু। ১৯৬২ সালে যান চলাচল শুরু হয়। এর আগে দুবার সংস্কার করা হয়েছিল। কালুরঘাট রেল সেতুর বয়স এখন ৯৩ বছর। ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের জন্য সেতুতে বড় ধরনের সংস্কারকাজের উদ্যোগ নেয় রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল। কাজ শুরু হয় গত বছরের আগস্ট থেকে। জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সঙ্গে ৪৩ কোটি টাকার চুক্তি করে রেল। চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছরের মার্চে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

সেতুর পিচ ঢালার কাজ (কার্পেটিং) এখনো ২৫ শতাংশ বাকি রয়েছে। ছাড়া ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধে সেতুর দুই প্রান্তে উচ্চতা প্রতিবন্ধকতা বসানো হবে। এই কাজ করতে সময় লাগবে।

সংস্কারকাজ শুরুর দিন থেকে পাশে যাতায়াতের বিকল্প হিসেবে ফেরি চালু করা হয়। সড়ক জনপথ (সওজ) বিভাগের উদ্যোগে ফেরি চালু হয়। তবে শুরুর দিনই জোয়ারের পানিতে বেইলি সেতু ডুবে যায়। সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল ফেরিও। শুরু থেকে ফেরি পারাপারে যে ভোগান্তি তা আর পুরোপুরি দূর হয়নি। এমনকি দুটি দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

×