ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

মানুষ কেন দুবাই থেকে সোনার গহনা কিনে?

প্রকাশিত: ১৬:১৯, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

মানুষ কেন দুবাই থেকে সোনার গহনা কিনে?

সোনার দোকান। ছবি: সংগৃহীত

সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাই শহরটি সারা বিশ্বের পর্যটকদের কাছেই জনপ্রিয় গন্তব্য। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন দুবাই ভ্রমণে যাওয়া খুবই সহজ। এই কারণে অভিজাত এই শহরে গেলে অনেকেই সোনার গহনা কিনে নিয়ে আসতে চান।

মূলত বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় সোনার দোকান বা বাজারের জন্য দুবাই সুপরিচিত। মানুষ কেন দুবাই থেকে সোনা, গহনা কিনে অন্য দেশে বিক্রি করে? এর পেছনে কারণই বা কি? এই প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যমটি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ক্রেতারা ক্রমবর্ধমানভাবে দুবাইতে সোনা ও মূল্যবান ধাতুর গহনা কিনছেন। মূল্যবান এসব জিনিস অন্যান্য দেশে বিক্রি করছেন - বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে।

শিল্পের নির্বাহীরা বলছেন, দুবাইতে বিক্রি হওয়া স্বর্ণ ও গহনার গুণমানের প্রতি আস্থা রাখার কারণে ক্রেতা ও ভোক্তারা এটি করে থাকেন। এছাড়া বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মধ্যে দামের পার্থক্য থেকে ক্রেতারাও উপকৃত হয়ে থাকেন।

খালিজ টাইমস বলছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবেশ বা বের হয়ে যাওয়ার সময় দেশটির বাসিন্দা এবং দর্শনার্থীদের যারা ৬০ হাজার দিরহামের বেশি মূল্যের নগদ অর্থ, স্বর্ণ, গহনা, হীরা এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র সাথে রাখেন, তাদের সেটি প্রকাশ করতে হবে।

মালাবার গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের আন্তর্জাতিক অপারেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামলাল আহমেদ বলেছেন, দুবাইয়ের তুলনায় ভারতের মতো এশিয়ান দেশগুলোতে সোনার দাম প্রায় ১২-১৫ শতাংশ বেশি। তাই যারা এই ধরনের ক্রস-কান্ট্রি ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত, তাদের জন্য এই ধরনের কর্মকাণ্ড উল্লেখযোগ্য আর্থিক লাভ নিশ্চিত করে।

খালিজ টাইমস বলছে, বুধবার দুবাইতে চব্বিশ ক্যারেট স্বর্ণের প্রতি গ্রাম ২৪৬.৫ দিরহামে (৫ হাজার ৫৭০ রুপিতে) বিক্রি হয়েছে। সেই তুলনায় একইদিনে ভারতে চব্বিশ ক্যারেটের প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দাম ছিল ৬ হাজার ৩২৩ রুপি বা ২৮০ দিরহাম।

জয়লুক্কাস গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জন পল আলুক্কাস বলেছেন, দুবাইয়ে স্বর্ণ ও গহনার বাজারে কঠোর মান নিশ্চিত করা এবং পণ্যের বিশ্বাসযোগ্যতাই বৈশ্বিক ক্রেতাদের এখান থেকে স্বর্ণ ও গহনা কিনতে আকৃষ্ট করে থাকে।

 

এসআর

সম্পর্কিত বিষয়:

×