কচ্ছপ
গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম উঠলো বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক কচ্ছপ জোনাথন এর। জোনাথন বিশ্বের প্রাচীনতম জীবন্ত ভূমি প্রাণী। ১৮৩২ কেই তার জন্মবর্ষ হিসাবে ধরা হয়।
১৮৮২ সালে সেশেলস থেকে সেন্ট হেলেনা দ্বীপে আনা হয় তাকে। তখন থেকেই এখানে আছে জোনাথন। বর্তমানে তার দৃষ্টিশক্তি চোখে ছানি পড়ার কারণে একেবারেই নেই। এমনকি ঘ্রাণশক্তিও হারিয়েছে জোনাথন। তবে তার ক্ষুধা এখনো প্রখর। স্বাভাবিক খাবারই খেতে পারে সে। তার কানের জোর এখনও অটুট। সামান্য আওয়াজেও তার মুখ নড়ে ওঠে, এখনও।
জোনাথনের দীর্ঘদিনের পশু চিকিৎসক জো হলিন্সের পরামর্শে তার খাবার দেওয়া হয়। সপ্তাহে একদিন সপ্তাহে একবার হাতে খাওয়ানো হচ্ছে ফল এবং শাকসবজি। এটি কেবল তার ক্যালোরির পরিপূরক নয় বরং তার বিপাকের প্রয়োজনীয় সব ভিটামিন, খনিজ সরবরাহ করে।
অনেকেই মনে করেন জোনাথনের আসল বয়স নাকি ২০০ পেরিয়ে গিয়েছে অনেক দিন। ১৮৩২ সালে পোর্তো প্রায়োতে আসেন বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইন। কিন্তু তখনও আবিষ্কার হয়নি বিবর্তনবাদের। লন্ডনে কলেরার প্রাদুর্ভাবও সে বছরেরই ঘটনা। একই বছর জন্ম জোনাথনেরও।
তারপর দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, দুনিয়ার হাজার ওঠাপড়া পেরিয়ে আজও সে গুটিগুটি পায়ে আগুয়ান। ভূমিতলে চলাফেরা করছে এমন প্রাণীর মধ্যে জোনাথনই সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ। তার আগে ২০২১ সালে টুই মালিলা নামের এক কচ্ছপ ১৮৮ বছর বয়সে বিশ্বরেকর্ড করেছিল।
জোনাথনের বাসস্থান হয় হেলেনা দ্বীপের গভর্নরের বাসভবনে। এই উপলক্ষে সেখানকার দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। মানুষ আসছেন চলমান ইতিহাসের গায়ে হাত বুলিয়ে ঘটনার সাক্ষী হতে। মনে করা হয়, জোনাথনের জন্ম ১৮৩২ সালে। ১৮৮২ নাগাদ তাকে সিসিলিস থেকে আনা হয় সেন্ট হেলেনায়। তার পর থেকে গভর্নরের বাসভবনই তার ঠিকানা।
তবে গভর্নরের বাসভবনে অবশ্য জোনাথন একা থাকে না। তার সঙ্গেই থাকে আরও তিনটি অতিকায় কচ্ছপ ডেভিড, এমা ও ফ্রেড। তিন জনের বয়সই নাকি একশো পেরিয়েছে।
সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড
এবি