ঐতিহ্য প্রকাশিত ‘ফিলিস্তিন : আমার বারুদের ফুল’ কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস ওয়াই রামাদান
প্রতিনিয়ত ইসরাইলি আগ্রাসনে ধ্বংস হচ্ছে ফিলিস্তিন। ইসরাইলি বর্বরতায় প্রাণ হারাচ্ছে দেশটির নারী-শিশু থেকে নিরীহ মানুষ। প্রাণহানির পাশাপাশি ক্রমাগত বোমা হামলায় মাটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে ফিরিস্তিনবাসীর ঘরবাড়ি। হয় ইসরাইলি নৃশংসতায় নিহত হচ্ছে নয় তো গৃহহীন হচ্ছে। ইসরাইলিদের এমন আমানবিক আচরণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ফিলিস্তিনের প্রতি ভিন্নভাবে সংহতি প্রকাশ করল প্রকাশনা সংস্থা ঐতিহ্য। কবিতার পঙ্ক্তিমালায় ফিলিস্তনিবাসীর প্রতি জানানো হয়েছে সহমর্মিতা। সেই সুবাদে ‘ফিলিস্তিন : আমার বারুদের ফুল’ কাবগ্রন্থ প্রকাশ করেছে ঐতিহ্য। সংকলনটিতে ফিলিস্তিনি প্রখ্যাত কবিদের অনুবাদের পাশাপাশি বাংলাদেশের নবীন ও প্রবীণ কবিদের কবিতা স্থান পেয়েছে।
রবিবার দুপুরে ঢাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসে কাব্যগ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস ওয়াই রামাদান। এ সময় ঐতিহ্যের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সমন্বয়কারী অস্ট্রিক আর্যু এবং কর্মকর্তা- রাকিবুজ্জামান লিয়াদ ও রাইসুল ইসলাম আসাদ। প্রকাশনা অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ফিলিস্তিনের মুক্তি সংগ্রামের প্রতি সংহতি জ্ঞাপন করে কবিতা সংকলন প্রকাশের জন্য ঐতিহ্যকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বাংলাদেশের মানুষকে ফিলিস্তিনের সংগ্রামী জনতার পাশে থাকার জন্য ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
চলচ্চিত্রে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনবিষয়ক সেমিনার ॥ বাংলাদেশকে বুঝতে হলে এ দেশের জনগণকে এবং জাতির পিতাকে বুঝতে হবে। বিশ্বের আর কোনো নেতা একটি জাতির অভ্যুদয়ের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর মতো জাগিয়ে তুলতে পারেনি। তাই শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বিশ্বনেতাকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে অধিকতর সচেতন হতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন নিয়ে চলচ্চিত্র বিষয়ক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।
রবিবার বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সেমিনার হলে ‘চলচ্চিত্রে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন : বাংলাদেশ ও বিশ্বপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে গবেষণা পত্র উপস্থাপন করেন নির্বাচিত গবেষক জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. রাগীব রহমান।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা ও গবেষক কাওসার চৌধুরী, প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা ও সংগীত পরিচালক সৈয়দ সাবাব আলী আরজু। গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, চলচ্চিত্র পরিচালক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. জসীম উদ্দিন।
আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোফাকখারুল ইকবাল, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক জ্যোতিকা পাল জ্যোতি, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তিগণ। সেমিনার অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের পরিচালক ফারহানা রহমান।