ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

বাড়িতে ক্যাশ রাখলেই হানা দিতে পারে আয়কর দপ্তর!

প্রকাশিত: ১২:১৬, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

বাড়িতে ক্যাশ রাখলেই হানা দিতে পারে আয়কর দপ্তর!

অনেকেই জানেন না ঠিক কি পরিমাণ অর্থ নগদ বাড়িতে রাখা যায়।

এমন একটা সময় ছিল, যখন সাধারণ মানুষ নিত্য খরচের টাকা ঘরে তুলে রাখতেন। আর বাকিটা ব্যাংকে গচ্ছিত থাকত। কিন্তু এখন ডিজিটাল লেনদেন সাধারণ মানুষের ঘরে নগদ সঞ্চয়ের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে অনেকখানি। তবে অনেক ব্যবসায়ী এখনও ঘরে টাকা রাখতে পছন্দ করেন। কিন্তু, অনেকেই জানেন না ঠিক কি পরিমাণ অর্থ নগদ বাড়িতে রাখা যায়। অতিরিক্ত অর্থ বাড়িতে রাখলে যে কোনো সময় আয়কর দপ্তর অভিযান চালাতে পারে।

আয়কর আইন অনুযায়ী, বাড়িতে সঞ্চিত অর্থের পরিমাণের কোনো ঊর্ধ্বসীমা নেই। তবে সেই আয়ের উৎস সম্পর্কে সঠিক তথ্য থাকতে হবে। কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে যত টাকাই পাওয়া যাক না কেনো, আয়কর দপ্তরকে জানাতে হবে সেই টাকা তিনি কোথা থেকে রোজগার করেছেন।

যদি কারো বাড়িতে সঞ্চিত অর্থের পরিমাণের সঙ্গে উপযুক্ত নথি তিনি পেশ করতে না পারেন, তাহলে আয়কর দপ্তর তাকে জরিমানা করতে পারে। এমনতি, শাস্তিও হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, আয়কর দপ্তরের কর্মীরা হিসাব বহির্ভূত অর্থ বাজেয়াপ্ত করবে। জরিমানার পরিমাণ মোট অর্থের ১৩৭ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।

মনে রাখতে হবে-

ভারতে ২০ হাজার টাকার বেশি নগদ গ্রহণ করা বেআইনি, তা ঋণ হলেও নয়। এই নিয়মই ব্যক্তির স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রেও মেনে চলতে হবে। কোনো আর্থিক বছরে ২০ লাখ টাকার বেশি নগদ লেনদেন করা হলে তার উৎস ও হিসেব দেখাতেই হবে, না হলে জরিমানা হতে পারে।

সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডায়রেক্ট ট্যাক্সেশন অনুসারে, একবারে ৫০,০০০ টাকার বেশি জমা করা বা তোলার জন্য প্যান নম্বর এবং বিশদ বিবরণ দেখাতে হবে। যদি কোনো অ্যাকাউন্ট হোল্ডার এক বছরে নগদ ২০ লাখ টাকা জমা করেন, তবে তিনি প্যান এবং আধার তথ্য দেখাতে বাধ্য। কোনো সম্পদ ক্রয় করার ক্ষেত্রে যদি ৩০ লাখ টাকার বেশি নগদ লেনদেন করা হয়, তাহলে যেকোনো ভারতীয় নাগরিক তদন্তের আওতায় আসবেন। ক্রেডিট-ডেবিট কার্ডে অর্থ প্রদানের সময়, যদি কোনো কার্ডধারী একবারে এক লাখ টাকার বেশি লেনদেন করেন তাহলেও সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত হতে পারে। একদিনে কোনো আত্মীয়দের কাছ থেকে প্রায় দুই লাখ টাকার নগদ নেওয়াও আইনসঙ্গত নয়। এই প্রক্রিয়া ব্যাংকের মাধ্যমে করাই ভালো।

এম হাসান

×