মাথা খাটিয়ে সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ করতে হবে।
কোটিপতি হতে কে না চায়। কিন্তু তার জন্য সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করতে হবে। আর বিনিয়োগ যত তাড়াতাড়ি শুরু করা যায়, তত ভালো। কেউ কী ৫ বছরে কোটিপতি হতে পারবেন? এর জন্য মাথা খাটিয়ে সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ করতে হবে। কিন্তু কোথায় বিনিয়োগ করা উচিত?
পাঁচ বছরে কোটিপতি হওয়ার জন্য এক কোটি টাকা চাই। বর্তমানে হাতে কত টাকা আছে এবং কোথায় কত বিনিয়োগ, সেটাও দেখতে হবে। ধরা যাক সেটা শূন্য। লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য হাতে পাঁচ বছর আছে। সুতরাং ১ কোটি টাকাকে ৫ দিয়ে ভাগ করলে দাঁড়ায় বছরে ২০ লাখ টাকা। প্রত্যেক বছর এই পরিমাণ টাকা চাই।
এবার ২০ লাখ টাকাকে ১২ মাসে ভাগ করলে দাঁড়ায় ১.৬৭ লাখ টাকা। প্রত্যেক মাসে এই পরিমাণ টাকা দরকার। মাসিক ৯০ হাজার টাকা আয়, খরচ ৬০ হাজার টাকা, হাতে থাকছে ৩০ হাজার টাকা। এই টাকাই বিনিয়োগ করতে হবে। লক্ষ্য প্রতি মাসে ১.৬৭ লক্ষ টাকা। হাতে পাওয়া যাচ্ছে ৩০ হাজার। ঘাটতি দাঁড়াচ্ছে ১.৩৭ লাখ টাকা।
পাঁচ বছরে এক কোটি টাকা পেতে ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ড, ফিক্সড ডিপোজিট এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে একযোগে বিনিয়োগ করতে হবে। ইক্যুইটিতে রিটার্ন বেশি, কিন্তু ঝুঁকিও রয়েছে।
৩০ হাজার টাকা এসআইপি-র মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডেও বিনিয়োগ করা যায়। বার্ষিক ১২ শতাংশ রিটার্ন পেলে ৫ বছরে ২৪ লাখ টাকা হাতে আসবে। কিন্তু পাঁচ বছরে কোটিপতি হওয়া যাবে না। পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে দশ বছর করলেও ৭০ লাখ টাকার বেশি জমবে না।
সোজা কথায়, অল্প সময়ের মধ্যে ১ কোটি টাকা পেতে হলে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে হবে। এর জন্য আলাদা করে বিনিয়োগ করতে হবে। ২৫ বছরের জন্য মাসিক ৩ হাজার টাকা বিনিয়োগ (১২ শতাংশ রিটার্ন ধরে) করলেই লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব হবে।
এম হাসান