ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২

অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কৌশল

প্রকাশিত: ২০:৪৬, ১৮ জানুয়ারি ২০২১

অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কৌশল

৭ জানুয়ারি, ২০২১, বর্তমান মহাজোট সরকারের ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় থাকার এক যুগপূর্তি (২০০৯-২০২০) পালিত হয়ে গেল এবং এই সময়ে সরকারের অনেক অর্জনের মধ্যে একটি বড় অর্জন হলো তিনটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা যথা: ষষ্ঠ (২০১১-১৫), সপ্তম (২০১৫-২০) ও অষ্টম (২০২০-২৫) জাতিকে উপহার দেয়া। এই প্রবন্ধে বিগত সপ্তম পরিকল্পনার মেয়াদে টার্গেটভিত্তিক অর্জন ও বর্তমান অষ্টম পরিকল্পনার কতিপয় দিক নিয়ে আলোকপাত করব, যা সময়োচিত ও প্রাসঙ্গিক বলে প্রতীয়মান। বাংলাদেশের সপ্তম পঞ্চবার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনার (২০১৫-২০২০) বাস্তবায়নকাল শেষ হয়েছে গত জুন মাসে। সরকার অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০২০-২০২৫) ঘোষণা করেছে ২ ডিসেম্বর, ২০২০ পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত একনেক সভার অনুমোদনের মাধ্যমে যে সভার সভাপতিত্ব করেছিলেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। নতুন মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনা এমন এক সময় শুরু হয়েছে যখন করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সৃষ্ট সঙ্কট অর্থনীতির ওপর নানাভাবে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এরই মধ্যে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ের নানা গবেষণা এবং জরিপ বলছে নোভেল করোনার কারণে দেশে দারিদ্র্যের হার ক্রমাগতহারে বেড়েই চলেছে এবং দারিদ্র্যের প্রেক্ষাপটকে পাল্টিয়ে দিয়েছে। এখানে লক্ষণীয়, ২০০৫-২০১০ পর্যন্ত প্রতি বছর দারিদ্র্য ১.৭ শতাংশ হারে কমলেও ২০১০-২০১৬ কালে তা কমেছে ১.২ শতাংশ হারে এবং ২০১৬ পরবর্তী তিন বছরে দারিদ্র্য হ্রাসের গতি ছিল নিম্নমুখী। সøত গতিতে হলেও দারিদ্র্য যখন হ্রাস পাচ্ছিল তখন গত বছরে কোভিড-১৯ করোনা এসে সব পাল্টে দেয় এবং বাজেট ঘোষণার আগে পিপিআরসি এবং ব্র্যাকের গবেষণার ফলাফলে তারই প্রতিফলন ঘটেছে, যেখানে বলা হয়েছে কোভিড-১৯-এর কারণে দেশ নতুন করে ২২.০৯ শতাংশ মানুষ গরিব হয়েছে অর্থাৎ নতুন-পুরনো মিলে এখন দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে দেশের ৪০ শতাংশ, যার সংখ্যা ৭ কোটির ওপরে রয়েছে। সিপিডি বাজেট সংক্রান্ত এক রিপোর্টে বলছে, দারিদ্র্য ২০১৬ সালে যেখানে ছিল ২৪.৩ শতাংশ বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ শতাংশের যা সংখ্যায় দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৭৭ লাখের ওপরে। ৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছে, ২৬ মার্চ থেকে ৩ মে এই ৬৬ দিন ঘোষিত ছুটির কারণে নিম্ন্ন মধ্যবিত্ত ৫ কোটি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে ১ কোটি ১৯ লাখ মানুষ দরিদ্র হয়েছে। দরিদ্র থাকা ৩ কোটি ৪০ লাখ মানুষ থেকে ২ কোটি ৫৫ লাখ হতদরিদ্র হয়েছে। ৯ মে থেকে ৩০ মে ব্র্যাকের এক জরিপে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯-এর ছুটির কারণে মানুষ উপার্জনের দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৫১ শতাংশ মানুষ খানাভিত্তিক আয়ে শূন্যতে নেমেছে, ৬২ শতাংশ মানুষ চাকরি থেকে উপার্জনের সুযোগ হারিয়েছে এবং সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেবা খাত। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন বলেছে, সরকার ঘোষিত ছুটিতে ৫০ লাখ শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, হোটেল-রেস্তরাঁ বন্ধ থাকায় অনেক মানুষ চাকরি হারিয়েছে। আবার ৩১ মে থেকে বন্ধ অবস্থা খুলে দেয়ায় সংক্রমণ আরও বাড়বে বলে চীনা বিশেষজ্ঞ দল মন্তব্য করেছেন। বিআইডিএস-এর গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে করোনার প্রভাবে দেশে দেড় কোটিরও বেশি মানুষ দরিদ্র হয়েছে। আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশে প্রথাগতভাবে ঝুঁকিতে থাকা মানুষগুলো এসব নেতিবাচক প্রবণতায় বেশি আক্রান্ত হয়েছে। তাই অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অতিমারী সৃষ্ট প্রেক্ষাপট ও বিগত সময়ের অভিজ্ঞতা বিবেচনার দাবি রাখে। এখানে উল্লেখ্য যে, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সময় দেশের বেশ কিছু অর্জন হয়েছে, যেমন নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) শ্রেণী থেকে বের হওয়ার শর্ত পূরণ, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তেজি (৫.২৪%) এক কোটি মানুষের দারিদ্র্য পরিস্থিতির উন্নয়ন, অনুকূলে সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, নিম্ন মূল্যম্ফীতি (৫.৬%), সন্তোষজনক রিজার্ভ (৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), মাথাপিছু আয় (২০৬৯ মার্কিন ডলার) এবং টাকার স্থিতিশীল বিনিময় হার। গত পাঁচ বছরে সাক্ষরতার হার বেড়েছে ১০ শতাংশ, বিদ্যুত উৎপাদন বেড়েছে ৪১ শতাংশ, খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে ১২ শতাংশ, নারীর প্রতি বৈষম্যের সূচকে এসেছে লক্ষণীয় অগ্রগতি ও অতিমারীজনিত বিপর্যয়কর প্রভাবকে তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা গেছে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার এসব অর্জনের পাশাপাশি কিছু ব্যর্থতা/বিচ্যুতি লক্ষ্য করা যায়। যেমন প্রাক্কলিত বিনিয়োগ ও উৎপাদন ছাড়াই অভীষ্ট অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রকৃত ব্যর্থতা, উচ্চ প্রবৃদ্ধির হারের সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যাশিত কর্মসংস্থান না হওয়া, দারিদ্র্য কমার সঙ্গে সঙ্গে বৈষম্য বাড়া, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের তুলনীয় উন্নতি না হওয়া, দুর্বল সরকারী প্রতিষ্ঠান ও পরিষেবার কারণে সরকারের সঠিক নীতি ও কার্যক্রমে যথার্থ লক্ষ্য অর্জন না হওয়া, তথ্যের স্বল্পতা ও নীতি বাস্তবায়নে স্বচ্ছতার অভাব এবং অংশীজনদের সীমিত ভূমিকা-পরিকল্পনার কার্যক্রমের বাস্তবায়নকে দুর্বল করে দেয়া। এই পরিস্থিতির গুণগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অষ্টম পরিকল্পনা কি উদ্ভাবনী প্রস্তাব নিয়ে এসেছে তা মূল্যায়নের দাবি রাখে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় যে সকল লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ১.১৩ কোটি নতুন কর্মসংস্থান তৈরি, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮.৫১ শতাংশে উন্নীত করা, বিনিয়োগ জিডিপির ৩৭.৪ শতাংশে উন্নীত এবং সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৪.৮ শতাংশে নামিয়ে আনা, কর-জিডিপি অনুপাত ১২.৩০ শতাংশে উন্নীতকরণ অন্যতম। এই লক্ষ্য অর্জনে পরিকল্পনার পাঁচ বছরে খরচ ধরা হয়েছে ৬৪ লাখ ৯৫ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা, যার মধ্যে দেশীয় উৎস থেকে খরচের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৫৭ লাখ ৪৮ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে ধরা হয়েছে ৭৪ হাজার ৭৫৯ কোটি টাকা। আবার দেশীয় উৎসের মধ্যে সরকার দেবে ১২ লাখ ৩০ হাজার ১২০ কোটি টাকা এবং ব্যক্তি খাত থেকে লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৫২ লাখ ৬৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য (এসডিজি) নিয়ে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাটি প্রণীত হয়েছে, যেখানে রয়েছে গুণগত শিক্ষা, সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ সংক্রমণে সৃষ্ট সাময়িক বেকারত্ব ও বিদেশফেরত কর্মীদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শ্রমবাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে সমতা আনয়ন, আয় বৈষম্য কমানো, সমন্বিত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলা, টেকসই নগরায়ণ, সরকারের ‘আমার গ্রাম আমার শহর প্রকল্প’ বাস্তবায়ন ইত্যাদি। তাছাড়াও রাজস্ব আয় বাড়ানো এবং বাণিজ্য শুল্কের ওপর নির্ভরতা কমাতে এই দুই লক্ষ্য অর্জনের জন্য রাজস্ব আইন আরও বেশি সংস্কারের মাধ্যমে কর প্রশাসনকে আধুনিক ও শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থায়নের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। খাতওয়ারি বিভাজনে দেখা যায় যে, দেশের অভ্যন্তরে ৮৪.২০ হাজার এবং প্রবাসে ৩৫ লাখ কর্মসংস্থান ধরা হয়েছে, যা সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্যের তুলনায় ১০ লাখ কম। উল্লেখ্য, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় গত পাঁচ বছরে (২০১৬-২০) মোট কর্মসংস্থানের লক্ষ্য ছিল ১ কোটি ২৯ লাখ। এর মধ্যে দেশীয় ১ কোটি ৯ লাখ ও বিদেশী ২০ লাখ কর্মসংস্থা সৃজনের লক্ষ্য ছিল। পাঁচ বছর শেষে অবশ্য লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি, কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে ৯৫ লাখ, যার মধ্যে দেশীয় ৬০ লাখ ও প্রবাসে ৩৫ লাখ। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় আগের মতো কার্যকর পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এজন্য পরিকল্পনা দলিলে জাতীয় অগ্রাধিকার সামষ্টিক ও খাতভিত্তিক ১৫টি ক্ষেত্র পরিবীক্ষণ এবং মূল্যায়নের লক্ষ্যে ১০৪টি সূচকসংবলিত একটি ফলাফলভিত্তিক পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কাঠামো সংযোজন করা হয়েছে। এই কাঠামোর ভিত্তিতে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ পরিকল্পনা দলিলের মধ্যবর্তী ও সমাপ্ত মূল্যায়ন করে প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। আশা করা যায়, আগামী পাঁচ বছর সামনে রেখে যেভাবে প্রাক্কলনগুলো করা হয়েছে সেগুলো অর্জন করা সম্ভব হবে। তবে সার্বিক মূল্যায়নে বিশেষত বিগত পরিকল্পনার বাস্তবায়নের আলোকে কিছু দিকনির্দেশনার সুপারিশ করা হলো, যার মধ্যে রয়েছে ১. প্রবৃদ্ধির বলয় থেকে সরে এসে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রাকে মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনার কেন্দ্রে নিয়ে আসা। কারণ কর্মসংস্থান ছাড়া প্রবৃদ্ধি টেকসই হয় না; ২. অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নকে কার্যকর করতে বছরওয়ারি, খাতভিত্তিক ও পিছিয়ে থাকা গোষ্ঠী অনুসারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বৈষম্য হ্রাসের প্রাক্কলনকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা; ৩. প্রথাগত আয়ভিত্তিক দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকেন্দ্রিক উন্নয়ন কৌশল থেকে বের হয়ে নিম্ন-মধ্যবিত্ত এবং বিভিন্ন ধরনের বিপন্ন মানুষকে উন্নয়নের অভীষ্ট গোষ্ঠী হিসেবে দেখা অর্থাৎ বিত্তহীন ও বিত্তবানদের মতো প্রান্তিক গোষ্ঠীকে পেছনে ফেলে বিকাশমান নিম্ন-মধ্যবিত্তদের সুরক্ষা দেয়ার পথ অনুসরণ করা; ৪. বাংলাদেশে প্রচলিত উন্নয়ন কৌশলে রফতানিমুখী উন্নয়নকে সর্বাপেক্ষা গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক উন্নয়ন প্রবণতা ও অভিজ্ঞতা বলছে, অভ্যন্তরীণ বাজারকেন্দ্রিক গ্রামীণ শিল্পায়নকে অগ্রাধিকার দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। সামস্টিক অর্থনীতিকে টেকসই করতে কৃষিতে ফসল তোলার পরবর্তী ধাপগুলোকে শিল্পায়ন পরিকল্পনায় সামনের দিকে নিয়ে আসা সময়ের দাবি; ৫. বর্ধিত অভ্যন্তরীণ চাহিদার সঙ্গে সংযুক্তভাবে অর্থনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রণোদনা কাঠামোকে পুনর্বিন্যাস করা প্রয়োজন। কারণ অর্থনৈতিক কাঠামোকে সমর্থন দিতে বাড়াতে হবে শ্রমের উৎপাদনশীলতা অর্থাৎ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি হতে হবে অভ্যন্তরীণ ও বেসরকারী ভোগ এবং বিনিয়োগ; ৬. অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বৈষম্য নিরসন এবং বিকাশমান মধ্যবিত্তকে সুরক্ষা দেয়ার সুনির্দিষ্ট নীতি অনুসরণ করা প্রয়োজন; ৭ প্রবীণ, শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী, চর-হাওড় অঞ্চলের অধিবাসী, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ, দলিত শ্রেণী ও আদিবাসীসহ আর্থ-সামাজিকভাবে পিছিয়ে থাকা নানা জনগোষ্ঠীর স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়া প্রয়োজন, তাদের জন্য প্রণীত সরকারী নীতি এবং প্রতিষ্ঠানের কার্যকারিতা বাড়ানো প্রয়োজন। আরও বিভাজিত এবং হালনাগাদ তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে উন্নয়ন মূল্যায়নে স্বচ্ছতা বাড়ানো প্রয়োজন। সবশেষে বলা যায়, আগামী মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনার মেয়াদকালে সামাজিক জবাবদিহিতাকে জোরদার করতে হবে, যার মাঝেই নিহিত সাফল্য এবং আগামী অর্জন। লেখক : অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও ডিন, সিটি ইউনিভার্সিটি
×