সময়ের পরিক্রমায় আসে নতুন বছর, নতুন ভাবনা। পুরনো বছর যে প্রত্যাশা-স্বপ্ন পূরণ হয়নি, তা নতুন বছরে পূরণ হবে সেটাই সবার কামনা। ব্যক্তি জীবন থেকে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে চাওয়া-পাওয়া, সফলতা-ব্যর্থতা এসব থাকবেই। এ নিয়েই আমাদের পথ চলতে, বেঁচে থাকতে হয়। সময় অবস্থান এবং পারিপার্শ্বিকতা অনুকূলে না থাকলে মানুষের প্রাপ্তি এবং অপ্রাপ্তির ব্যবধান বেড়ে যায়। তাই আমাদের সচেতন সক্ষম সবারই প্রয়াস-প্রচেষ্টা থাকে জয় করার, জয়ী হবার। সুস্থ সুন্দর সুখী শান্তিময় জীবনের প্রত্যাশা কে না চায়? কিন্তু দেখতে হবে আমরা তার জন্য প্রয়োজনীয় কাজটি যথাসময়ে করছি কিনা! আমাদের চিন্তা এবং পরিকল্পনায় যদি শূন্যতা এবং সততা থাকে, থাকে মনোবল আর আত্মপ্রত্যয় তা হলে নিজে যেমন সুখী হতে পারি, তেমনি পারি অন্যকে সুখী করতে, রাখতে। সেজন্য সর্বাগ্রে আমাদের প্রয়োজন মানবিক আচরণ, মানবীয় দৃষ্টিভঙ্গি। ন্যায় প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ সরকার যদি আইনের শাসনের নিশ্চয়তা বিধান করতে পারে তাহলে সমাজ থেকে অন্যায়-অবিচার দূর করা তেমন কঠিন কিছু নয়; এক্ষেত্রেও দরকার সুশাসন। সরকারের সদিচ্ছা। দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে সুশাসন একটা বড় সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কারণ এতে মানুষের মনে নিরাপত্তার বোধ তৈরি হয়। কর্মমুখী পরিবেশ নিশ্চিত থাকলে উন্নয়ন ঠেকিয়ে রাখা যায় না। আমাদের সম্পদের সুসম বণ্টন এবং তার উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনায় যদি আমরা স্বচ্ছতা আনতে পারি এবং ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে পারি তাহলে একটি সমৃদ্ধ উন্নয়নগামী আগামীর স্বপ্ন সফল হতে বাধ্য। আমাদের মেধাবী এবং পরিশ্রমী তরুণ সমাজ আছে তাদের যদি সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারি তাহলে আমাদের পিছিয়ে পড়ার কোন কারণ নেই। সঠিক নীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়নই আমাদের অভীষ্টে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।
মিরপুর, ঢাকা থেকে