ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

নরসিংদীর বেলাবতে মা ও দুই সন্তানের লাশ উদ্ধার ॥ আটক ৩

প্রকাশিত: ১৪:৩৫, ২২ মে ২০২২

নরসিংদীর বেলাবতে মা ও দুই সন্তানের লাশ উদ্ধার ॥ আটক ৩

স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী ॥ নরসিংদীর বেলাব উপজেলার একটি বাড়ীর দুটি ঘর থেকে এক নারী ও তাঁর দুই শিশুসন্তানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রবিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের ভাবলা গ্রাম থেকে লাশ তিনটি উদ্ধার করা হয়। কী কারণে কারা এ হত্যাকা- ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেনি পুলিশ। নিহত তিনজন হলেন উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের ভাবলা গ্রামের গিয়াস উদ্দিন শেখের স্ত্রী রাহিমা বেগম (৩৬) এবং তাঁদের দুই সন্তান রাব্বি শেখ (১৩) ও রাকিবা শেখ (৭)। রাহিমা বেগম এলাকায় কাপড় সেলাইয়ের কাজ করতেন। রাব্বি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ছাত্র ও রাকিবা একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করত। এলাকাবাসী জানান, রবিবার সকাল আটটার দিকে স্থানীয় এক নারী ওই বাড়ীতে পূর্বে বানাতে দেয়া পোশাক আনতে যান রাহিমা বেগমের বাড়িতে। ঘরের দরজা বন্ধ দেখে বেশ কয়েকবার নাম ধরে সজোরে ডাকাডাকি করেন তিনি। কিন্তু আশপাশ থেকেও কারও কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে কৌতূহলবশতঃ দরজার নিচ দিয়ে ঘরের ভেতরে তাকান তিনি। এ সময় তিনি ঘরের মেঝেতে রক্ত দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন ও প্রতিবেশীরা এসে ওই ঘরের একটি জানালা ভেঙ্গে ঘরের ভেতর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর বেলাব থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, পশ্চিম পাশের মাটির ঘরের মেঝেতে গৃহবধুর রক্তাক্ত লাশ। তার কপাল ও পেটে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। দক্ষিন পাশের মাটির ঘরের খাটে দুই সন্তান রাব্বি ও রাকিবার লাশ। রাব্বিকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ও রাকিবাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে বেলাব থানার ভারাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাফায়েত হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এর পরপরই খবর পেয়ে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর লাশ উদ্ধারের কাজ শুরু হয়। এ সময় দুই ঘরের দরজা খুলে নিহত তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত রাহিমা বেগমের স্বামী গিয়াস উদ্দিন শেখ জানান, ১০/১২ দিন আগে বাড়িতে কয়েকটি গাছ কেটেছিলেন তিনি। এ নিয়ে তখন তাঁর এক চাচাতো ভাই রেনু মিয়ার সাথে ঝগড়া হয়। রেনু মিয়া গাছগুলো বিক্রি করতে দেননি। এ নিয়ে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে রেনু মিয়া তাদেরকে হত্যার হুমকিও দিয়েছিল। নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে। খুব দ্রুতই এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। লাশ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এব্যাপারে বেলাব থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
×