ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

শুধু নির্বাচনই নয়, বিএনপি-জামায়াতসহ সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা হবে ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগের বিকল্প একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তির উত্থান চান প্রধানমন্ত্রী

একত্রে লড়বে ১৪ দল ॥ শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: ২৩:০৭, ১৬ মার্চ ২০২২

একত্রে লড়বে ১৪ দল ॥ শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আগামী নির্বাচনেও ১৪ দল জোটবদ্ধভাবে অংশ নেবে। শুধু নির্বাচনই নয়, বিএনপি-জামায়াতসহ সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সকল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থেকেই রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবে ক্ষমতাসীন এই আদর্শিক জোট। এছাড়া আগামী নির্বাচন সামনে রেখে সারাদেশেই ১৪ দলীয় জোটকে আরও সক্রিয়, বেগবান এবং কার্যকর করতে দ্রুতই মাঠে নামবেন কেন্দ্রীয় ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর সরকারী বাসভবন গণভবনে প্রায় তিন বছর পর অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের দীর্ঘ বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। বৈঠকে ১৪ দলের ঐক্যকে বজায় রাখার ব্যাপারে সব নেতা একমত পোষণ করেন এবং জোটের মধ্যে যেসব সমস্যা, যথাযথ মূল্যায়ন না করার অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে দ্রুত সমাধানের ব্যাপারেও ঐকমত্য পোষণ করেছেন জোটের শরিক দলের নেতারা। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ১৪ দলীয় জোটভুক্ত দলগুলোকে নির্বাচন সামনে রেখে যার যার দলগত অবস্থান আরও শক্তিশালী করারও তাগিদ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছেন। বৈঠকে থাকা ১৪ দলীয় জোটের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৈঠকে বিএনপি-জামায়াত ও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের বিকল্প একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তির উত্থান হোক এমনটা প্রত্যাশা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপি সম্পর্কে তিনি বলেছেন, তারা একটি সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক জোটের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত এবং স্বাধীনতাবিরোধী চক্র জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ। তাই প্রধানমন্ত্রী চান আওয়ামী লীগের বিকল্প একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তির ঊত্থান হোক। আমাদের রাজনৈতিক মূলভিত্তি হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক ও স্বাধীনতার পক্ষের চেতনা। সুতরাং সেই শক্তি থেকে আরেকটি বিকল্প শক্তির উত্থান হোক- সেটাই ওনার (প্রধানমন্ত্রী) প্রত্যাশা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ১৪ দলের সমন্বয়ক-মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভা-ারী, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শাহাদাত হোসেন, ন্যাপের দায়িত্বপ্রাপ্ত কার্যকরী সভাপতি আইভি আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডাঃ ওয়াজেদুল ইসলাম খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ডাঃ অসীত বরণ রায়, গণআজাদী লীগের সভাপতি এস কে সিকদার, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশীদ খান, আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ। বৈঠক সূত্র জানায়, ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করলেও সরকার গঠনের পর জোটের শরিক দলগুলোকে অবমূল্যায়ন এবং বিরোধী দলে থাকার প্রস্তাব নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কিছু না বলেননি। তবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক জোট ১৪ দলকে আরও সক্রিয় থাকতে হবে, অপশক্তির ষড়যন্ত্র রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে হবে। ১৪ দল আছে, থাকবে এবং আগামী নির্বাচনও ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নেবে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ১৪ দলের একাধিক নেতা রেশনিং প্রথা চালু করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছিলেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রেশনিং প্রথা চালু করতে গেলে আবার ডিলারশিপ দিতে হবে। সেখানে আবার দুই নম্বরী হবে। তার থেকে ১ কোটি কার্ড করে দিব। সেখানে কম মূল্যে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা পণ্য কিনতে পারবেন। বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির বিরুদ্ধে জোরদার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর মাধ্যমে এটা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যথোপোযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার মাধ্যমে কোন সিন্ডিকেটকে জনগণের অসুবিধা গ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে না। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে ১৪ দলীয় জোটের কয়েকজন নেতার সরকারের সমালোচনা করে বিভিন্ন সময়ের প্রদত্ত বক্তব্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী উষ্মা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, সরকারী দলের জোটে থেকে সরকারের সমালোচনা করা সমীচীন নয়। আপনারা দল টেকানোর জন্য যদি এভাবে সমালোচনা করেন তাহলে বিরোধী পক্ষ তো এটাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবে। জোটের কয়েকজন নেতাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত হয়ে বলেন, জোটে থাকার কারণে গত ১৩ বছরে শরিক দলের অনেকে এমপি-মন্ত্রীসহ সরকারের নানা সুবিধা পেয়েছেন। জোটে না থাকলে তাদের অনেকে এই সুবিধা পেতেন কিনা প্রশ্ন রয়েছে। ফলে সরকারের সঙ্গে থেকে এভাবে সমালোচনা তো দ্বিচারিতার মধ্যে পড়ে যায়। জানা গেছে, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভা-ারীসহ কয়েকজন নেতা ১৪ দলীয় জোটের আগামী সংসদ নির্বাচন ও জোটের ভবিষ্যত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখেন। তারা আগেভাগেই বিষয়টি স্পষ্ট করার প্রস্তাব করেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ভোটও জোটগতভাবে আমরা করব। ১৪ দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধ থাকবে বলেও তিনি এ সময় জানান। বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী গোষ্ঠী বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মাঠে নামার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা ১৪ দলকেও মাঠের কর্মসূচী দিয়ে বিরোধী শক্তিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। বৈঠক শেষে গণভবনের বাইরে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, ১৪ দলের ঐক্য অটুট রয়েছে, আগামীতেও ঐক্য বজায় থাকবে। আগামী নির্বাচনেও ১৪ দল জোটবন্ধভাবে নির্বাচন করবে। সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থানে ১৪ দলের যে ভূমিকা, সেটিও অব্যাহত থাকবে। নির্বাচনে আসন বণ্টনের বিষয়ে জানতে চাইয়ে আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা বলেন, এখনই আসনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে না। এ জন্য আরও আলোচনা এবং অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। তবে নির্বাচন এক সঙ্গে হবে। বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে তখন কি জোটবদ্ধ নির্বাচন হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন আমু বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে এটা তারা বলছে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কি করবে, এটা দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেব। বিএনপি-জামায়াতসহ সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে ১৪ দল মাঠে নামবে জানিয়ে জোটের এই মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আরও বলেন, সারাদেশে ১৪ দলকে ঐক্যবদ্ধ করে কাজ শুরু করা হবে। করোনাকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যক্রম ও ভূমিকার প্রশংসা করেছে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা। তারা বলেছেন, সারা বিশ্বে করোনার এই সময়ে সারাদেশের মানুষের টিকা দেয়া ও করোনা মোকাবেলা সম্ভব হয়েছে। এ জন্য তিনি প্রশংসিত হয়েছেন। শ্রমিকসহ সকল শ্রেণীর মানুষকে যেভাবে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে এ জন্য তাঁর প্রশংসা করা হয়েছে। বৈঠকে আলোচনা প্রসঙ্গে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ১৪ দলীয় জোটের ঐক্য, বর্তমান পরিস্থিতি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি সবই আলোচনা হয়েছে। খুবই খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন, বহুদিন পর আমরা একটা ভাল আলোচনা করেছি। আমরা বলেছি সরকারের সঙ্গে ১৪ দলের সম্পর্কে যে প্রশ্নটা আছে, সেটাও আপনার (প্রধানমন্ত্রী) নির্মূল করতে হবে। কারণ সব ব্যাপারে আমরা একমত নই। সব ব্যাপারে আমরা মেনেছি ব্যাপারটা এরকম না। সুতরাং যেখানে যেটা আছে, সেখানে কোন ব্যত্যয় থাকলে বিষয়টি আলোচনায় আসে। জোটের এই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ১৪ দল ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করবে। বিএনপি নির্বাচনে না আসলে কি জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে মেনন বলেন, এ বিষয়ে কোন কথা হয়নি। বিএনপি নির্বাচনে আসবে না, সেটা আমরা জানি। বিভিন্ন সময় জনগণের ভোটের নিশ্চয়তা দাবি করেছিলেন। সেই বিষয়ে কি আজকে আলোচনা করেছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত ইউপি নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে যে প্রশ্নগুলো এসেছে, জনগণের ভোটদানের অধিকারের যে প্রশ্নটি এসেছেÑ এই ব্যাপারটি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া ইস্যুতে বাংলাদেশের ভারসাম্যমূলক নীতি অবলম্বনকে সমর্থন করেছেন বলে জানিয়েছেন রাশেদ খান মেনন। বলেন, আমরা মনে করি এটা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। বৈঠকে আলোচনা প্রসঙ্গে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, সরকারী দলের কাছে চাওয়া-পাওয়া নিয়ে আলোচনা হয়নি। আলোচনাটা হয়ে ১৪ দলীয় জোট প্রসঙ্গে। আমরা মূলত কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি, সেটি ফলপ্রসূ হয়েছে। বাংলাদেশে এখনো রাষ্ট্রের চিরশত্রু সাম্প্রদায়িক জঙ্গীবাদী এবং সন্ত্রাসী শক্তি রাষ্ট্রের মূলভিত্তিতে হামলা ও আঘাত করছে। আমরা তাই মনে করি এখনও ১৪ দল রাখার প্রয়োজন রয়েছে। একইভাবে জোটকে মাঠ পর্যায়ে রাজনৈতিকভাবে কার্যকর করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, তেল-গ্যাস এবং বিদ্যুতের দাম যেন না বৃদ্ধি না করা হয়, সেই বিষয়ে আলোচনার সূত্রপাত করা হয়েছে। দুর্গাপূজা ও সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িতরা যেন কোন অবস্থায় আইনের ফাঁকফোঁকর দিয়ে ছাড় না পায় এবং দ্রুত বিচারের সম্মুখীন হয় এই বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আগামী নির্বাচন নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, তবে ১৪ দলকে কার্যকর করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। আমরা আশা করছি এই আলোচনার ধারাই ১৪ দলীয় জোট শক্তিশালী হবে। নির্বাচন এখনও অনেক দূরে আছে, পরবর্তীতে এগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন হবে। দ্রব্যমূল্য সম্পর্কে বলেছেন নিয়ন্ত্রণের রাখার সর্বপ্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বিএনপি নির্বাচনে না আসলে কি জোট থাকবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জোট থাকবে। জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন হবে। এটা প্রধানমন্ত্রী বলেছেন। আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ভিত্তিতে গঠিত ১৪ দলীয় ঐক্যজোটের নেতৃত্বে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, ১৪ দল জোটবদ্ধভাবেই নির্বাচনে অংশ নেবে।
×