স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারীর দারোয়ানীতে অরক্ষিত রেলঘুন্টিতে অটোর সাথে ট্রেনের সংঘর্ষে অটোযাত্রী তিন নারী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন অটোর চালক সহ অপর ৭ যাত্রী। নিহতরা সবাই উত্তরা ইপিজেডের শ্রমিক। আজ বুধবার (২৬ জানুয়ারী) সকাল ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন জেলা সদরের সোনারায় ধনীপাড়া গ্রামের শাহেরা খাতুন(৩৫), রোমানা(৩৪) ও শেফালী ৩২)। এদের মধ্যে শেফালী ঘটনাস্থলে ও অপর দুইজন নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে মারা যায়। এ ছাড়া আহতদের মধ্যে তিনজনকে রংপুর মেডিক্যাল এবং বাকিরা নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রংপুরে যাত্রী কুলছুমা, নাসরিন ও অটোচালক অহিদুল রয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আমীর আলী জানান, নীলফামারী-সৈয়দপুর রেলপথের দারোয়ানীতে খোলা একটি অরক্ষিত রেলগেট আছে। একটি অটোরিকশায় করে উত্তরা ইপিজেডের শ্রমিকরা সবাই কাজে যাচ্ছিলেন। অটোরিকশাটি লেবেল ক্রসিং অতিক্রম করার সময় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটি গামী আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে একজন এবং হাসপাতালে নেয়ার পথে দুইজন মারা যান। এ ছাড়া আহত ৭জনকে নীলফামীর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মেজবাহুর হাসান চৌধুরী জানান, ঘটনাস্থলে একজন, হাসপাতালে আনার পথে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও দুই জন তাদের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকি তিনজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রংপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ যে, গেল বছরের ৮ ডিসেম্বর সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের বউবাজার মনসাপাড়া নামক স্থানে ট্রেনে কাটা পড়ে একই পরিবারের তিন ভাই বোন সহ ৪ জন নিহত হয়েছিল।