অনলাইন ডেস্ক ॥ বিদেশে পলাতক প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদার ও তার সহযোগীদের ঋণ জালিয়াতি, আত্মসাৎ ও পাচারের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দুদকের জনসংযোগ দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।
আগামী সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে তাদের বক্তব্য জানাতে হবে।
তলব করা চারজন হলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের দুই যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ ফেরদৌস কবির ও এ.বি.এম মোবারক, উপ-পরিচালক মো. হামিদুল আলম এবং সহকারী পরিচালক মো. কাদের আলী। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ারসহ সংশ্লিষ্টরা।
গত বছরের নবেম্বরে ২৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পিকে হালদারসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ -এ আলাদাভাবে পাঁচটি মামলা হয়। আরও ৮৮ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় আরও দুটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে সাবেক দুদক সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।
‘কাগুজে’ প্রতিষ্ঠান জি অ্যান্ড জি এন্টারপ্রাইজ ও তামিম অ্যান্ড তালহা ব্রার্দাস লিমিটেডের নামে পৃথক ৩০ কোটি করে মোট ৬০ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে আলাদা দুটি মামলা দায়ের করেন।
গ্রিনলাইন ডেভেলমেন্ট লিমিটেডের নামে ৬০ কোটি টাকা ঋণের নামে উত্তোলন করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এমটিবি মেরিন লিমিটেডের নামে ৬০ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে ও পি অ্যান্ড এল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের নামে ৫০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রহমান বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন।