অনলাইন ডেস্ক ॥ আফগানিস্তান থেকে আগস্ট মাসে সেনা প্রত্যাহারের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই প্রথমবারের মত তালেবানের সাথে মুখোমুখি বৈঠক করেছে। শনিবার কাতারের দোহায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তালেবানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি বলেছেন, দু'পক্ষই ফেব্রুয়ারি ২০২০-এর চুক্তি বহাল রাখতে সম্মত হয়েছে। ওই চুক্তিতে তালেবান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারা আল-কায়েদাকে তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় বসে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের নিরাপত্তা ক্ষুণ্ণ করার মত কোন কার্যক্রম চালাতে দেবে না।
মি. মুত্তাকি বলেন, মার্কিন প্রতিনিধিদল কোভিড টিকা এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছতে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তিনি বলেন, তালেবান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী, তবে তিনি হুঁশিয়ার করেন - যেন এক দেশ অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ নীতিতে নাক না গলায়। এ বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা এখনো কোন মন্তব্য করেননি।
তবে বৈঠকের আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র বলেছিলেন, তালেবান যেন নারীদের অধিকারকে সম্মান করে, সব পক্ষকে নিয়ে সরকার গঠন করে এবং মানবিক ত্রাণ সংস্থাগুলোকে কাজ করতে দেয় - সে জন্য চাপ প্রয়োগ করতে তারা এ বৈঠকটিকে কাজে লাগাবে।
বৈঠকটি আজ রবিবারওও চলবে বলে জানানো হয়েছে। আল-জাজিরা টিভিকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তালেবান প্রতিনিধিরা এ বৈঠকের সময় আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বলেছেন। রয়টার্সের রিপোর্টে আরো বলা হয়, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী ও আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলো চলে যাওয়ায় - দেশটি বিপুল পরিমাণ অনুদান থেকে বঞ্চিত হয়েছে যা থেকে তাদের ৭৫% সরকারি ব্যয়ের সংস্থান হতো।
বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় বসার অর্থ এই নয় যে তারা আফগানিস্তানে তালেবানের শাসনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। কাবুলের পতনের পর ওয়াশিংটন ও তালেবানের মধ্যে এই প্রথম মুখোমুখি বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও আফগানদের নিরাপদে সরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথাও ছিল। আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেট এবং অন্যান্য জিহাদি গ্রুপ মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতা করার কথা তালেবান উড়িয়ে দিয়েছে।
সূত্র : বিবিসি বাংলা