নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা ॥ জেলার দুর্গাপুর ও মদন উপজেলায় দুই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। আর ধর্ষকরা হচ্ছে এক ছাত্রীর খালাত বোনজামাই ও অপর এক কলেজছাত্র।
জানা গেছে, দুর্গাপুরের একটি গ্রামের ওই স্কুলছাত্রীর (১৪) বাবা-মা নেই। তার এক ভাই অটোরিক্সা চালায়। রবিবার বিকেলে তাদের খালাত বোনজামাই মেনকিফান্দা গ্রামের মুলহাস মিয়া ওই বাড়িতে গিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এলে মুলহাস মিয়া পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে মুলহাস মিয়ার লোকজন। কিন্তু ছাত্রীর পরিবার এতে রাজি না হয়ে থানায় মামলা দায়ের করে। দুর্গাপুর থানার ওসি শাহানূর-এ আলম জানান, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ছাত্রীকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মুলহাসকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) বাড়ি থেকে তুলে নিজ বাড়িতে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে মদন উপজেলার মাঘান নয়াপাড়া গ্রামের কলেজছাত্র মাসুম মিয়ার বিরুদ্ধে। মাসুম ওই গ্রামের ইকবাল মিয়ার ছেলে এবং ময়মনসিংহের একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। জানা গেছে, মাসুম মিয়া বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তার নিজ বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। প্রথমে স্থানীয়রা ঘটনাটি সালিশীর মাধ্যমে মিমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে মিমাংসা না হওয়ায় রবিবার রাতে ছাত্রীর বাবা মদন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
