ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

৩০০ অসহায়-দুঃস্থ মানুষের মাঝে যুবলীগের খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ

প্রকাশিত: ১৪:৫৮, ১ সেপ্টেম্বর ২০২১

৩০০ অসহায়-দুঃস্থ মানুষের মাঝে যুবলীগের খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ

অনলাইন ডেস্ক ॥ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশনায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কর্তৃক আয়োজিত ৩০০ অসহায় ও গরীব মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসব বিতরণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল। যুবলীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এক বিবৃতিতে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, ১৯৭৫ সালের আগস্ট মাসের ভোরে আমি আমার স্বজনদেরকে হারিয়েছি। মাত্র ৫ বছর বয়সে বাবা-মায়ের রক্তাক্ত দেহ অতিক্রম করে এক কাপড়ে বাসা থেকে বের হতে বাধ্য হয়েছিলাম। আশ্রয়ার্থী হয়ে বিভিন্ন বাসাতে পালাতে হয়েছিল সেদিন ভয়াল আগস্টে, নিজের জীবন বাঁচাতে। সেদিন হারিয়েছিরাম আমার বাবা আপনাদের প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি ও আমার মা আরজু মণি সেরনিয়াবাতকে। হারিয়েছি আমার নানা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশ কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু মন্ত্রী পরিষদের সদস্যকে। সর্বোপরি আমরা সপরিবারে হারিয়েছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি আরও বলেন, শুধু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকেই নয়, সেই সাথে সেদিন একটি আদর্শ ও মূল্যবোধ্যের সমাধি হতে দেখেছি। কবর দেওয়া হয়েছে দেশপ্রেম ও মেধাভিত্তিক রাজনীতির। এ সকল কারণে এই আগস্ট মাসটা আমাদের কাছে অত্যন্ত বেদনাদায়ক মাস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হল সেই নেতা যিনি জন্ম গ্রহণ না করলে প্রিয় মাতৃভূমিও পেতাম না, জাতীয় সঙ্গীতও হতো না। বাংলার শোষিত, নিপীড়িত, মেহনতী মানুষের হাহাকার, দীর্ঘ নিঃশ্বাসের মধ্যে আমরা বঙ্গবন্ধুকে খুঁজে পাই। বঙ্গবন্ধু এদেশকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন। এখন তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আজকে মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হয়েছে। সামনের বছর দেশবাসী এর সুফল পাবেন ইনশাআল্লাহ। শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে নেত্রীর দেখানো পথে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা, আজ আগস্টের এই কর্মসূচি থেকে শক্তি সঞ্চার করে এক অভূতপূর্ব গণজাগরণ সৃষ্টি করে মানুষের সেবা করার শপথে আবদ্ধ হয়েছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, আপনারা লক্ষ্য করেছেন করোনার মহামারির সময় থেকে আজ পর্যন্ত যুবলীগের নেতা-কর্মীরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়ন, থানা, পৌরসভা, উপজেলা, জেলা ও মহানগরের প্রতিটি নেতা-কর্মী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নির্দেশে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। করোনার এই সময়ে ফ্রি মেডিসিন সেবা, ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা, ফ্রি অক্সিজেন সেবা, করোনা আক্রান্ত রোগী ও অন্যান্য রোগীর সেবা, করোনা আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির লাশ দাফন/সৎকার করা, অসহায় কৃষকের জমির ধান কাটাসহ সকল ধরণের মানবিক কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছে যুবলীগ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এড. মামুনুর রশীদ, ডা. খালেদ শওকত আলী, মোঃ হাবিবুর রহমান পবন, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ এমপি, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, মোঃ জসিম মাতুব্বর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোঃ মাজহারুল ইসলাম, ডা. মোঃ হেলাল উদ্দিন, মোঃ জহির উদ্দিন খসরু, আবু মুনির মোঃ শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব, কার্যনির্বাহী সদস্য মানিক লাল ঘোষসহ প্রমুখ।
×