নিজস্ব সংবাদদাতা, মানিকগঞ্জ, ১৮ জুলাই ॥ মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে তানভীরের নার্সারিতে ফুটেছে দুর্লভ প্রজাতির লাল কদম। বিরল এই লাল কদম দেখতে সাধারণ কদম ফুলের মতো হলেও এ ফুলের ভেতরভাগে রয়েছে মাংসল পুষ্পাধার। যাতে পাপড়িগুলো আটকে থাকে। লাল পাপড়ির মাথায় থাকে সাদা পরাগ। সচরাচর আমরা যে কদম ফুল দেখি তার পাপড়িগুলো হলুদ এবং পরাগ সাদা রঙের হয়।
বর্ষার অন্যতম অনুষঙ্গ এই কদম ফুল। বর্ষা মৌসুমে গ্রামে গ্রামে কদম ফুলের গন্ধে ও সৌন্দর্য্যে প্রকৃতির নতুন রূপ দেখা যায়। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মনেও দোলা দিয়েছে কদম ফুল। বর্ণে গন্ধে সৌন্দর্য্যে কদম এ দেশের রূপসী তরুর অন্যতম। হরিরামপুরের সুলতানপুর গ্রামের তানভীর আহমেদের নার্সারিতে ফুটেছে দুর্লভ লাল কদম। সাধারণত কদমের পাপড়ি হলুদ রঙের হলেও লাল কদমের পাপড়ি হয় লাল রঙের। বাংলাদেশে লাল কদম এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। লাল কদম ফুলের খবর পেয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে ফুল ও প্রকৃতিপ্রেমীরা যাচ্ছেন তানভীরের নার্সারিতে।
তানভীর আহমেদ জানান, ২০১৬ সালে তিনি লাল কদম ফুল গাছের সন্ধান পান নারায়ণগঞ্জের এক বাড়িতে। সেখান থেকেই একটি ডাল সংগ্রহ করে এনে তার নার্সারিতে লাগিয়ে দেন। বর্তমানে তার নার্সারিতে অন্তত ১৬টি লাল কদম ফুল গাছ রয়েছে। যার মধ্যে ৪/৫টিতে ফুল ফুটেছে। বাকিগুলোও ফুল ফোটার অপেক্ষায়।
শুধু লাল কদমই নয়, তানভীরের নার্সারিতে রয়েছে দুর্লভ সব ফুলের সমারোহ। তার সংগ্রহে রয়েছে সাদা, হলুদ ও নীল রঙের কৃষ্ণচূড়া, রাজ অশোক, পারিজাত, শ্বেত শিমুল, গোলাপী শিমুল, হলুদ শিমুল, সাদা হিজল, হিমঝুড়ি, গোল্ডেন চেইন, অপরূপ চাপা, হলুদ পলাশ, হাজার পাপড়ির পদ্ম, কালো রঙের জবা। এর মধ্যে সাদা সোনালু, সাদা কৃষ্ণচূড়া, সাদা হিজল ও গোল্ডেন চেইন ফুলগাছ বাংলাদেশের অন্য কোথাও নেই বলেও দাবি করেন তানভীর।