নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ লকডাউন শিথিল করায় কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার সাথে সাথেই গাইবান্ধা সদর উপজেলার দারিয়াপুরসহ বিভিন্ন পশুর হাট জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। কিন্তু হাটে কোন স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। এতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকার সৃষ্টি হচ্ছে।
বিধিনিষেধের ফলে দীর্ঘদিন হাট বন্ধ থাকায় এলাকার মানুষ কোরবানির পশু নিয়ে বিপদে পড়ে। বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার সাথে সাথেই দারিয়াপুর, ভরতখালি, মাঠেরহাট, লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন পশুর হাটে জমতে শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই প্রতিটি হাটেই ক্রেতা বিক্রেতার উপচে ভীড় ও পশুর ব্যাপক আমদানি পরিলক্ষিত করা হয়েছে।
বিক্রেতা ও খামারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার হাটে গরুর দাম কম হাকা হচ্ছে। কিন্তু প্রচুর পরিমাণে কোরবানির গরু উঠায় এমনটা হচ্ছে। পরবর্তী হাটগুলোতে ভালো দাম পাওয়া যাবে। এ হাট বসে প্রতি শুক্র ও মঙলবার। এবার করোনার কারণে পশুর সঠিক মূল্য না পাওয়ার আশংকায় বিক্রেতাদের মধ্যে হতাশা লক্ষ্য করা গেছে।
এব্যাপারে দারিয়াপুর হাট ইজারাদার আরিফ মিয়া রিজুর সাথে কথা বলে জানা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে অন্যান্য হাটের তুলনায় এ হাটে ক্রেতা এবং বিক্রেতারা খুব সুষ্ঠভাবে গরু কেনাকাটা করতে পারছে। এছাড়া পাইকারদের জন্য থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা করা হয়েছে এবং জাল টাকা শনাক্ত করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। হাটে যাতে ক্রেতা-বিক্রেতার কোন সমস্যা না হয় তার জন্য আমাদের ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক সার্বক্ষণিক হাটের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে।