অনলাইন ডেস্ক ॥ ‘টিকটক হৃদয়দের’ হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হওয়া তরুণীর ঘটনা তদন্তে নেমে যেন ‘কেঁচো খুঁড়তে কেউটের’ সন্ধান পাচ্ছে ভারতীয় পুলিশ। সোমবার দ্য হিন্দু জানিয়েছে, এবার সাত বাংলাদেশি নারীর সঙ্গে পাঁচ বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে; এদেরও দেহব্যবসায় বাধ্য করা হয়েছে।
রামনগরমূর্তি পুলিশকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী নারীরা জানিয়েছে তাদের মতো কয়েক শ বাংলাদেশি নারী গত কয়েক মাসে ভারতে পাচার হয়েছেন।
বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া এক তরুণীকে গত মাসের শেষ দিকে নির্মম নির্যাতন করে কয়েক জন বাংলাদেশি যুবক। অভিযুক্তরা নিজেরাই ভিডিও ধারণ করে ফেঁসে যায়।
ভিডিওটি তারা আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গের বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করে।
ভিডিও ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠলে ভারতের নর্থ ইস্ট পুলিশ এবং বাংলাদেশি প্রশাসন তদন্ত শুরু করে। আসাম পুলিশ টুইটারে ছবি পোস্ট করে অভিযুক্তদের ব্যাপারে তথ্য দেয়ার অনুরোধ জানায় সাধারণ মানুষকে। সঙ্গে প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়।
এরপর বেঙ্গালুরু সিটি পুলিশ তাদের বিশেষ টিমকে দায়িত্ব দেয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ বুঝতে পারে, অভিযুক্তরা রামনগরমূর্তির আওলাহল্লি এলাকায় অবস্থান করছেন। সেখান থেকে এক তরুণীসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।
তখন ভুক্তভোগী অন্য সাত নারীকে উদ্ধার করা হয়।
রামনগরমূর্তি থানার পাশের এলাকায় এসব নারীদের নিয়ে রাখা হয়েছিল। পুলিশ বলছে, উদ্ধার হওয়া পাঁচ বছরের শিশুটি ভুক্তভোগী এক নারীর মেয়ে।
গ্রেফতার হওয়া সবুজ নামের এক তরুণের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এদের উদ্ধার করা হয়েছে। সবুজও পাচারকারী দলের সদস্য।