জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ আগের শর্তাবলীর সঙ্গে কিছু নতুন শর্ত যুক্ত করে চলমান ‘লকডাউন’ বা বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর চিন্তা করছে সরকার। নতুন শর্তে সীমান্তবর্তী জেলার মানুষের চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ থাকতে পারে বলে আলোচনা শোনা যাচ্ছে। এদিকে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ আরও ১৪ দিন বাড়াল সরকার। খবর বাংলানিউজের।
চলমান বিধিনিষেধের শেষ দিন রবিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এমন শর্ত যুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা শনিবার রাতে বলেন, সীমান্তবর্তী জেলায় করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট সরকারকে ভাবিয়ে তুলেছে। এজন্য সীমান্তবর্তী জেলার মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্তঃজেলাসহ সব ধরনের গণপরিবহন আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলের সুযোগ রেখে ৩০ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয়। এছাড়াও হোটেল-রেস্তরাঁ ও খাবার দোকানসমূহে আসন সংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহীতাকে সেবা প্রদানের সুযোগ রাখা হয়। চলতি বছর করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢিলেঢালা লকডাউন হলেও সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করে সরকার। পরে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়। তবে দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ এবং ট্রেন চলাচল ঈদ পর্যন্ত বন্ধ ছিল। পরে ২৪ মে থেকে গণপরিবহন চলার অনুমতি দেয়া হয়।
সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ বাড়ল আরও ১৪ দিন ॥ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত বন্ধের মেয়াদ আরও ১৪ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফলে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত বন্ধ থাকবে। শনিবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত বন্ধ নিয়ে বৈঠকে শনিবার সিদ্ধান্ত হয়েছে, আরও ১৪ দিনের জন্য বর্ডার বন্ধের মেয়াদ বলবত থাকবে।’
বৈঠকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামুখী বন্দর নিয়ে বাংলাদেশীদের ভারত থেকে ফেরা বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা সংক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে। তাই আপাতত সোনামুখী বন্দর নিয়ে বাংলাদেশীদের দেশে ফেরা বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ওই বন্দর দিয়ে এখন পর্যন্ত মাত্র ৮৮ জন ফিরেছেন। সবাই ওখানে কঠোর কোয়ারেন্টাইনে আছেন।’ ভারতের করোনার পরিস্থিতির কারণে গত ২৬ এপ্রিল দেশটির সঙ্গে ১৪ দিনের জন্য সব ধরনের স্থলসীমান্ত বন্ধ করে বাংলাদেশ। তবে দেশটিতে আটকেপড়া বাংলাদেশী নাগরিকদের মধ্যে যাদের ভিসার মেয়াদ ১৫ দিন বা তার চেয়ে কম ছিল তাদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের শর্তে দেশে ফেরার সুযোগ দেয়া হয়।