নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী ॥ পটুয়াখালীতে করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ পাচ্ছে না ১৫ হাজার মানুষ। এমন প্রেক্ষাপটে বন্ধ হয়েছে টিকা দেয়ার কার্যক্রম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম শিপন। পূর্ব ঘোষণা ছাড়া টিকা কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার কারনে বেকায়দায় পড়েছেন দ্বিতীয় ডোজ নিতে আসা অনেক মানুষ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে পটুয়াখালী জেলার ৮ টি উপজেলা ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৮ টি বুথসহ মোট ৩২ টি বুথে করোনার টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানাযায়, জেলায় এ পর্যন্ত টিকা নেয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৫৮ হাজার ৫’শ ৮২ জন। গত রবিবার পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ নেন ৪৫ হাজার ৫’শ ৩৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৯ হাজার ২’শ ৮ জন ও নারী ১৬ হাজার ৩’শ ২৯ জন।
গত রবিবার পর্যন্ত টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেন ৩০ হাজার ৮’শ ২৪ জন। যার মধ্যে পুরুষ ২০ হাজার ৪’শ ৬৩ ও নারী ১০ হাজার ৩’শ ৬১ জন। অর্থাৎ টিকার প্রথম ডোজ নেয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৪ হাজার ৭’শ ১৩ জন আপাতত টিকা পাচ্ছেন না।
পটুয়াখালী সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম শিপন বলেন, ‘পটুয়াখালীতে যে পরিমাণ করোনা টিকা বরাদ্দ ছিল, তা শেষ হয়েছে। যে কারণে গত রবিবার থেকে জেলায় টিকা কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ। তবে বরাদ্দ পাওয়া গেলে আবার টিকাদান শুরু করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রথমে ৪৮ হাজার ডোজ পেয়েছিলাম। পরবর্তীতে বরিশাল বিভাগের মধ্যে অ্যাডজাস্ট করতে ৬০০ ভায়াল ফেরত নিয়ে সেখান থেকে ৪০০ ভায়াল দেয়া হয়। ‘পরে ৪৬ হাজার ডোজ থেকে ৪৫ হাজার ৫’৩৭ ডোজ দেয়া হয়। আর ৪’শ ৬৩ ডোজ সিস্টেম লস বা অপচয় (৫% পর্যন্ত অপচয় স্বাভাবিক) হয়। কারণ একটা ভায়াল থেকে ১০ বার ইনজেকশন নিলে কিছু অপচয় হয়।’
সিভিল সার্জন জানান, দ্বিতীয় ডোজের ৩১ হাজার ডোজ থেকে ৩০ হাজার ৮২৪ ডোজ দেয়া হয়েছে। দুটি মিলিয়ে সিস্টেম ০.৮ শতাংশ।