অনলাইন ডেস্ক ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, নদী বেষ্টিত বাংলাদেশে নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ পালনের গুরুত্ব অপরিসীম। অন্যান্য পরিবহনের তুলনায় নৌপথ অধিকতর সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব। দুর্ঘটনামুক্ত নৌপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা নৌপবিহন অধিদফতরের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। জানমালের নিরাপত্তার জন্য অধিদফতর থেকে বেশকিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি স্বীকার করি ও আমরা দেখছিও নৌ দুর্ঘটনা হ্রাস পাচ্ছে। এর কারণটা মনে হয় নৌযানের ডিজাইন, নৌপথগুলো কিংবা যা যা করণীয় সেগুলো করছেন, প্রত্যক্ষ সুপারিভিশন আছে বলে এগুলো কমছে। আমরা দেখতাম প্রতিবছর যখন একটা ছুটি সেই সময়ে একটা বড় দুর্ঘটনা ঘটতো। সেগুলো হ্রাস পেয়েছে, একদম চলে গেছে সেটা বলব না।
আজ বুধবার সচিবালয়ে ‘নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০২১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম (বীর উত্তম) ও নৌপরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন চৌধুরী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
নৌখাতে উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সফটওয়্যারের মাধ্যমে জাহাজের ডিজিটাল নকশা নিশ্চিতকরণ, ডাক ইয়ার্ডগুলোতে আধুনিক যন্ত্র ও প্রশিক্ষিত জনবলের মাধ্যমে জাহাজ নির্মাণ নিশ্চিতকরণ, হাইড্রোলিক স্টিয়ারিংয়ের মাধ্যমে বড় বড় নৌযানের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিতকরণ, ভিএইচএফ যন্ত্র স্থাপনের মাধ্যমে এক জাহাজের সঙ্গে অন্য জাহাজের যোগাযোগ স্থাপন, রাডার সংযোজনের মাধ্যমে অন্ধকার রাতে ও কুয়াশায় অন্যান্য নৌযান চিহ্নিতকরণ ও ইকোসাউন্ডের মাধ্যমে নদীর গভীরতার ও নাব্যতার ধারণা পাচ্ছেন। সেজন্য আমি মনে করি নৌপথ আগের চেয়ে সচল হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সেক্টরের নৌযান সার্ভে ও রেজিস্ট্রেশন প্রতিবেদনসহ জাহাজের নাবিকদের সব তথ্য সম্বলিত অনলাইন ডিজিটাল ডাটাবেইজ সংরক্ষণ করা হচ্ছে। সরকারের এমন বাস্তবমুখী পদক্ষেপের কারণে নৌপরিবহন খাত দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে।