নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ শেরপুরের ঝিনাইগাতী থেকে গত ৩ দিন যাবত দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীসাধারণ, বেড়েছে তাদের দুর্ভোগ। এদিকে বাস চলাচল স্বাভাবিক করতে জরুরিভাবে প্রশাসনের নজর দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন যাত্রী সাধারণ।
জানা যায়, ঝিনাইগাতী উপজেলা থেকে প্রতিদিন প্রায় ২০-২৫টি দূরপাল্লার বাস যাতায়াত করে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রায় একযুগ ধরে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদর থেকে সাভারের আশুলিয়া পর্যন্ত ছামিউল হক ফকিরের মালিকানাধীন শাহ ফকির এক্সপ্রেস নামে একটি বাস চলাচল করে আসছিল। সম্প্রতি কোন কারণ ছাড়াই জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সুজিত ঘোষ সাক্ষরিত একটি চিঠিতে শাহ ফকির গাড়িটির চলাচল এক সপ্তাহ বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়। এর প্রেক্ষিতে ৫ মার্চ শুক্রবার উপজেলা বাস মালিক ও শ্রমিকরা জরুরিভাবে মিটিং করে সঠিক সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত ঝিনাইগাতী থেকে কোনো দূরপাল্লার বাস যাতায়াত করবে না বলে সিদ্ধান্ত নেন। ফলে শুক্রবার রাত থেকে ঝিনাইগাতীর সবগুলো কাউন্টারে টিকিট বিক্রি বন্ধ করেন স্থানীয় মালিক পক্ষ। এতে ঢাকাগামী যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
শাহ ফকির এক্সপ্রেসের মালিক ছামিউল ফকির জানান, আমার বাসটি দীর্ঘদিন থেকে ওই রুটে চলাচল করে আসছে। কিছুদিন আগে শেরপুর থেকে আরও একটি বাস আশুলিয়ায় চলাচল শুরু করে। এরপর জেলা বাস মালিক সমিতি কোন কারণ ছাড়াই আমার বাসটি বন্ধ করে দিতে বলে। গত পরশুদিন আমার বাসটি যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে নবীনগর এলাকায় বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে ঝিনাইগাতী থেকে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে স্থানীয় মালিকরা। এর সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত উপজেলা থেকে বাস চলবে না বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সুজিত ঘোষের মোবাইলে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ বলেন, যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত বাস চালুর বিষয়ে আজই বাস মালিকদের নিয়ে বসা হবে।