স্টাফ রিপোর্টার ॥ কমিউনিটি এসোসিয়েশান অফ নোভা স্কসিয়ার উদ্যোগে উদযাপিত হয়ে গেল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিশেষ কর্মশালা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কোভিড-১৯ এর স্বাস্থ্য সচেতনতা বিবেচনায় রেখে উক্ত অনুষ্ঠান অনলাইনে উদযাপন ও সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
হ্যালিফ্যাক্স সেন্ট্রাল লাইব্রেরির পল ও রেগান হলে অস্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়। বর্তমান সময়োপযোগী স্বাস্থ্যবিধি মান্য করে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করে শহীদবেদীতে পুষ্পস্তাবক অর্পণ করা হয়। এসময় বাংলাদেশীদের পাশাপাশি কানাডিয়ানরাও বিমোহিত হন। উক্ত অনুষ্ঠানে এবং সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন হ্যালিফ্যাক্সে বসবাসরত কানাডিয়ান বাংলাদেশীগণ, বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা এবং প্রভিন্সিয়াল সরকারের অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ।
সকলে মিলে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ও কানাডার জাতীয় সংগীত গেয়ে মূল অনুষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রেক্ষাপটে বক্তব্য উপস্থাপিত হয়। কানাডিয়ানরা পরিচিত হন ঐতিহাসিক ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারীর প্রেক্ষাপটের সাথে। তারা জানতে পারে রফিক, জব্বার, বরকত, সালাম ও সকল ভাষাশহীদের আত্মত্যাগের কথা। বাংলাদেশের প্রখ্যাত কবি ও সাহিত্যিক আসাদ চৌধুরী উক্ত অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচারে যোগদান করেন এবং কানাডিয়ান বাংলাদেশী নতুন প্রজন্মের কাছে মাতৃভাষার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। সকলে মন্ত্রমুগ্ধের মতো তার আলোচনা শ্রবণ করেন। বাংলাসহ সকল ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের নিমিত্তে পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষাভাষী শিশু কিশোরদের নিজ নিজ ভাষায় পরিবেশনাও উক্ত অনুষ্ঠানে সম্প্রচারিত হয়।
বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও মাতৃভাষা দিবসের পটভূমিতে উদযাপিত হয় মনোরম সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। এসব পরিবেশনায় কানাডিয়ান বাংলাদেশী শিশুদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মত। দেশ থেকে দূরে থেকেও তাদের দেশের প্রতি মায়া, দেশের সংস্কৃতির প্রতি আকর্ষণ এবং নিজ ভাষার প্রতি মমতা সকলকে মুগ্ধ করে।
কোভিড-১৯ এর প্রতিবিন্ধকতার কথা বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশ কমিউনিটি এসোসিয়েশান অফ নোভা স্কসিয়ার প্রগতিশীল, সময়োপযোগী ও সুসংহত উদ্দ্যোগের কারণেই বাংলাদেশ থেকে দূরে থেকেও হ্যলিফ্যাক্সের বাংলাদেশী কানাশিয়ানরা যেন কানাডার বুকে খুঁজে পেয়েছেন নতুন আরেক বাংলাদেশ। আর এভাবেই নোভা স্কসিয়ায় কানাডিয়ানদের মাঝে সম্প্রসারণ হচ্ছে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি।