অনলাইন ডেস্ক ॥ কয়েকদিন আগেই দক্ষিণ চীন সাগরে চীন নিয়ন্ত্রিত দ্বীপাঞ্চলের বিতর্কিত জলসীমায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধজাহাজ নোঙর করেছিল। এবার সেখানে মহড়া চালিয়েছে মার্কিন বিমানবাহী রণতরীর দুইটি বহর।
এর একটি থিওডর রুজভেল্ট এবং অপরটি নিমিটজ ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ। ২০২০ সালের জুলাই মাসের পর দক্ষিণ চীন সাগরের ব্যস্ত নৌপথে এটিই যুক্তরাষ্ট্রের দুই রণতরী বহরের প্রথম যৌথ মহড়া।
চীন এর নিন্দা জানিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র অঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে বেইজিংয়ে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, “দক্ষিণ চীন সাগরে এভাবে বার বার যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি ‘শক্তি প্রদর্শনের নামান্তর; যা কোনওভাবেই ওই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সহায়ক নয়।”
তিনি বলেন, ‘‘জাতীয় নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বের সুরক্ষায় চীন প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে এবং দক্ষিণ চীন সাগরের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ওই অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করে যাবে।”
থিওডোর রুজভেল্ট এবং নিমিটজ এর যৌথ মহড়ার কয়েকদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস জন এস. ম্যাককেইন চীন নিয়ন্ত্রিত প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জের কাছে নোঙর করেছিল।
দক্ষিণ চীন সাগরের ওই অঞ্চলকে চীন নিজেদের বলে দাবি করে আসলেও যুক্তরাষ্ট্র সেটিকে আন্তর্জাতিক জলসীমা বলেই বিবেচনা করে।
যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর এটিই প্রথম অভিযান।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, দক্ষিণ চীন সাগরে চীন সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে এবং মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, ভিয়েতনামের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোকে ভয় দেখাচ্ছে। প্রতিবেশী এই দেশগুলোও দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা দাবি করে। এ নিয়ে চীনের সঙ্গে তাদের বিরোধ লেগেই আছে।
নিমিটজ রণতরী বহরের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল জিম কার্ক এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় সব দেশের জন্য সমুদ্রের বৈধ ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।