অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকের বার্ষিক লভ্যাংশ (ডিভিডেন্ট) ঘোষণার নতুন নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মূলধন সংরক্ষণের ভিত্তিতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নগদসহ মোট ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে ব্যাংকগুলো। রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি হয়েছে।
মহামারী করোনায় আর্থিক সক্ষমতা এবং ব্যাংকের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের রিটার্নের বিষয়টি সামগ্রিকভাবে বিবেচনা করে ২০২০ সালে ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরের জন্য ব্যাংকের শেয়ারের বিপরীতে ডিভিডেন্ড দেয়ার ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালা অনুসরণ করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে ২০১৯ সালেও এমন নির্দেশনা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে নতুন নির্দেশনায় বেশ কিছু বিষয়ে ‘যোজন-বিয়োজন’ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমান নিয়মে একটি ব্যাংকের মোট ঝুঁকি ভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশ অথবা ৪০০ কোটি টাকার মধ্যে যেটি বেশি ন্যূনতম সে পরিমাণ মূলধন হিসেবে রাখতে হয়। এর বাইরে আপদকালীন সুরক্ষা সঞ্চয় (কনজারভেশন বাফার) হিসেবে ব্যাংকগুলোকে ২০১৬ সাল থেকে অতিরিক্ত মূলধন রাখতে হচ্ছে। গত ডিসেম্বর শেষে আপদকালীন সঞ্চয়সহ প্রতিটি ব্যাংকের মূলধন সংরক্ষণের কথা সাড়ে ১২ শতাংশ। বেসরকারী ও বিদেশী ব্যাংকগুলোতে মূলধন নির্ধারিত সীমার বেশি থাকলেও সরকারী ব্যাংকের প্রভাবে সামগ্রিকভাবে ব্যাংক খাতের মূলধন কাক্সিক্ষত পর্যায় রাখা সম্ভব হয়নি।
ব্যাংকের ডিভিডেন্ট ঘোষণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে নির্দেশনা দিয়েছে তা হলো, ঋণের বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ২০২০ সালে মূলধন সংরক্ষণে কোন সুবিধা না নিয়ে যে সব ব্যাংক আড়াই শতাংশ আপদকালীন সুরক্ষা সঞ্চয়সহ (কনজারভেশন বাফার) কমপক্ষে ১৫ শতাংশ বা তারও বেশি মূলধন সংরক্ষণ করেছে ওই সব ব্যাংক তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নগদসহ ৩০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।