নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ নওগাঁর রাণীনগরে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে লতিরাজ কচুর চাষ। অধিক পুষ্টিগুন সম্পন্ন এই সবজি চাষে কৃষকরা অধিক লাভবান হচ্ছেন বলে ভরসা বাড়ছে এই সবজি চাষে। এই সবজিটি মূলত দেশের উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি চাষ হয়। এক ঘেয়েমী আবাদ থেকে কৃষকদের অল্প সময়ে ও কম খরচে অধিক লাভবান করার আশায় উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক ত্বত্তাবধানে রাণীনগর উপজেলাতেও এই লতিরাজ কচুর চাষ শুরু করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলা মূলত ধান চাষের জন্য বিখ্যাত। তবে ইদানিং উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষি অফিসের সার্বিক ত্বত্তাবধানে অধিক লাভজনক ড্রাগন ও মাল্টা ফল এবং লেবুর চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে কৃষকরা। তারই ধারাবাহিকতায় অধিক লাভজনক আর একটি সবজি হচ্ছে লতিরাজ কচু। এই সবজি গাছের সবটুকুই লাভজনক। এপর্যন্ত উপজেলায় আগাম জাতের লতিরাজ কচু ৮ হেক্টর জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ করা হয়েছে। বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় অন্যান্য ফসল ও সবজির চেয়ে কচু চাষে লাভ অনেক বেশি পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে কচু চাষীরা। এই সবজি নিচু জমিতেও চাষ করা সম্ভব। এই সবজি চাষে তেমন কীটনাশক ও সার ব্যবহার করতে হয় না। এই কচু গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি হওয়ায় রোগের আক্রমণ কম হয়। কচু গাছের পাতা, কান্ড ও মূল সবজি হিসেবে রান্না করে খাওয়া যায়। এছাড়া কচুর কান্ডকে চারা হিসেবে বিক্রি করা যায় অর্থাৎ লতিরাজ কচুর পুরোটাই ব্যবহার করা সম্ভব। এক সময় উপজেলায় বাণিজ্যিক ভাবে লতিরাজ কচুর চাষ শুরু হবে এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চালান করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকারের ভিশনকে বাস্তবায়ন করার প্রয়াস হিসেবে উপজেলার কৃষকদের একঘেয়েমী ধান চাষ থেকে ফিরিয়ে অধিক লাভজনক ফসল ও সবজি চাষের প্রতি আগ্রহী করার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এই কচু দেশের উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলের একটি লাভজনক ফসল। আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে কচুর চারা সংগ্রহ করে কিছু কৃষককে উদ্বুদ্ধ করে কচু চাষ শুরু করেছি। বর্তমানে কৃষকরা তাদের কচু তোলা শুরু করেছেন। এতে করে কৃষকরা কচু থেকে লাভ খুব ভালো পাচ্ছেন বলে জানা গেছে।