স্টাফ রিপোর্টার ॥ কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, চাষযোগ্য জমি হ্রাস, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে ফসলের উচ্চ ফলনশীল জাত ও প্রযুক্তি দ্রুত কৃষকের কাছে পৌঁছাতে হবে। অনেক ফসলের উৎপাদনশীলতা স্থিতাবস্থায় রয়েছে। সেজন্য গবেষণা করে উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন করতে হবে। ইতোমধ্যে ব্রি-৮৭, বিনা-১৬সহ অনেকগুলো উচ্চ ফলনশীল জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সকল সংস্থা মিলে এসব জাত ও প্রযুক্তি দ্রুত কৃষকের কাছে নিয়ে যেতে পারলে ফসলের উৎপাদনশীলতা বাড়বে। শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি আয়োজিত ‘অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা: নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বিষয়ে চূড়ান্ত খসড়ার ওপর পর্যালোচনা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, জিডিপিতে কৃষির অবদান ক্রমশ কমলেও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। কৃষির এই গুরুত্ব সমসময়ই থাকবে দুটি কারণে। একটি হচ্ছে দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও অন্যটি হচ্ছে শিল্পের কাঁচামালের যোগান এই কৃষি থেকে আসে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তা অর্জন করতে হলে কৃষিকে আরও বেশি দায়িত্ব নিতে হবে; কৃষিকে আরও সফল করতে হবে। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্বে সমিতির মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুল হক কাজল, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শুভঙ্কর সাহা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।