দেশ এখন গুমের ভীতিকর নরক পুরীতে পরিণত হয়েছে॥ প্রিন্স

অনলাইন ডেস্ক ॥ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী সরকারের আমলে বাংলাদেশে আইনের শাসনের ছিটেফোঁটাও অবশিষ্ট নেই। আর এ কারণেই বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, দেশ এখন গুমের ভীতিকর নরকপুরীতে পরিণত হয়েছে।’ আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমান অনৈতিক ও নিষ্ঠুর সরকার চিরকাল ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে এতটাই মরিয়া হয়ে উঠেছে যে, তারা বিরোধী নেতাকর্মীদের ভয় পাইয়ে দিতে মিথ্যা মামলা, গ্রেফতারের পাশাপাশি গুমের রাজনীতির ওপর নির্ভর করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে যারা বড় বড় বুলি আওড়ান তারা এখন স্বাধীন দেশের নাগরিকদের জীবনকে বিপন্ন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেই অবমাননা করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনকে কব্জায় নিয়ে দেশে চলছে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের ভয়াবহ পরিস্থিতি উত্তরণে সকল রাজনৈতিক দল, মানবাধিকার সংস্থা, সুশীল সমাজসহ বিবেকবান সকল মানুষকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। নেতাকর্মীদেরকে গুম করার ভয়ঙ্কর সংস্কৃতি থেকে সরকারকে দূরে সরে আসতে হবে, নইলে এদেশের মানুষ তাদের ন্যায্য হিস্যা আদায় করে ছাড়বে।’ প্রিন্স বলেন, ‘আমার সাথে আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মীর পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত আছেন। যাদেরকে গত তিনদিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত তাদের কোনো খোঁজ নেই। গত ১৭ নবেম্বর যুবদল নেতা লিয়ন হককে তার বাসা থেকে, গত ১৮ নবেম্বর সরকারের করা মিথ্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বের হওয়ার সময় তুরাগ থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মামুন পারভেজ তন্ময় এবং তার সাথে তুরাগ থানা যুবদলের সহ-সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম হাসিবকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যায়। গতকাল সন্ধ্যায় উত্তরা ৫নং সেক্টর থেকে উত্তরা-পশ্চিম থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস মজুমদার মাসুমকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সাদা পোশাকধারীরা উঠিয়ে নিয়ে গেছে। এরপর থেকে সংশ্লিষ্ট থানাসহ ঢাকার বিভিন্ন থানা ও সংস্থার দফতরে খোঁজ নেয়া হলে তাদের আটকের বিষয়টি অস্বীকার করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রিন্স অবিলম্বে লিয়ন হক, মামুন পারভেজ তন্ময়, তৌহিদুল ইসলাম হাসিব ও ফেরদৌস মজুমদার মাসুমকে জনসম্মুখে হাজির করার আহ্বান জানান।