নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া ॥ কুষ্টিয়াসহ পাশ্ববর্তী পাঁচ জেলায় বোরো ধান ফলন বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক এক কর্মশালা আজ রবিবার সকালে স্থানীয় দিশা টাওয়ারে অনুষ্ঠিত হয়। টাওারের হলরুমে আয়োজিত এ কর্মশালায় পাঁচ জেলার শতাধিক কৃষি কর্মকর্তা অংশ গ্রহন করেন।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রি (গবেষণা ) পরিচালক ড. কৃষ্ণপদ হালদার। কর্মশালায় কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলার কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএনডিসি), মৃত্তিকা সম্পদ গবেষণা ও ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট কর্মকর্তারা অংশ গ্রহন করেন। এছাড়া কৃষক প্রতিনিধি ও চালকল মালিকসহ কৃষিখাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশ গ্রহন করেন।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজ্ঞানী আফসান আনসারী। মূল প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয় যে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ধান গবেষনা ইন্সটিটিউট উচ্চ ফনলশীল নতুন নতুন জাত উদ্ভবান করছে। আসন্ন বোরো মৌসুমে অধিক ফলন পেতে চাষযোগ্য পরিচর্যা, চিহ্নিত ও সঠিক এলাকায় সঠিক গুনগত মানসম্পন্ন বীজের ব্যবহার করতে হবে। বোরো জাতের ক্ষেত্রে ব্রি- ধান ৫০, রফতানিযোগ্য ও বাজারমুল্য বেশী, ব্রি ধান -৫৮ , স্বল্প জীবন ও সরুজাতের ধান, ব্রি ধান- ৬৩ (বাঁশমতি), ব্রি ধান -৮১, জিরা জাতীয় ধান, ব্রি ধান ৮৪ জিংক ও আয়রনসমৃদ্ধ ধান মানবদেহের প্রয়োজনীয় জিংকের চাহিদা মেটাবে এবং আয়রনের ঘাটতিও পূরণ করে। এসব জাত ছাড়াও এ অঞ্চলের জন্য চাষ উপযোগী ব্রি-৮১,৮৬, ৮৮ ও ৯৬ জাত ব্যাপকভাবে চাষ হচ্ছে। এ অঞ্চলে আবাদী জমির প্রায় ৭০ ভাগ ব্রি উদ্ভাবিত বিভিন্ন জাত চাষ হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গার কৃষক প্রতিনিধি হাফেজ সোহান জানান, ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট উদ্ভাবিত ব্রি ধান- ৮১ চাষ করে গতবছর তিনি বিঘা প্রতি ২৮ মন ধান পেয়েছেন। উদ্ভাবিত এসব নতুন জাত রোপন করে কৃষক লাভবান হচ্ছেন বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, ধান গবেষনা ইন্সটিটিউট উদ্ভাবিত হাইব্রীডসহ অন্যান্য ধান চাষ করে খাদ্য চাহিদা ও ঘাটতি পূরনে অনবদ্য ভুমিকা রাখছে। রোগবালাই প্রতিরোধ, সঠিক পরামর্শ ও পরিকল্পিত উপায়ে ধান উৎপাদন বাড়িয়ে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরনের উপর কর্মশালায় উপস্থিত কর্মকর্তারা গুরুত্বারোপ করেন। কুষ্টিয়া ধান গবেষনা ইন্সটিটিউটের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান দেওয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ পার্থ প্রতিম সাহা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কৃষিবিদ ড. হায়াৎ মাহমুদ, বৈজ্ঞানিক কর্মকতা ইফতেখার উদ্দিন জিতু, কৃষি কর্মকর্তা মিলন কুমার সাহা প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।