ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১

এক গাছেই নানা রঙের ফুল, বিচিত্র সম্ভার

প্রকাশিত: ২৩:০২, ১২ নভেম্বর ২০২০

এক গাছেই নানা রঙের ফুল, বিচিত্র সম্ভার

মোরসালিন মিজান ॥ একটিই গাছ, গাছ বলছি, আসলে গুল্ম। তাতে নানা রঙের ফুল। এর চেয়ে দারুণ ব্যাপার আর কী হতে পারে! সন্ধ্যামণি তাই বিশেষ আকর্ষণ। একাই বাগানের শোভা অনেকখানি বাড়িয়ে দেয়। মোটামুটি সারাবছরই ফুল ফোটে। বিচিত্র সম্ভার মুগ্ধ করে রাখে প্রকৃতিপ্রেমীদের। গাছটি অতি সাধারণ। ঝোপঝাড়ের মতো দেখতে। কিন্তু বহুবর্ষজীবী। একসঙ্গে অনেকগুলো গাছ হয়। ঘন হয়ে ফুল ফোটে। অমনি বদলে যায় চারপাশটা। রঙিন হয়ে ধরা দেয়। যেসব বাগানে শুধু গাছ আর গাছ, সারাবছর কেবল পাতাই দৃশ্যমান হয়, সেখানে সন্ধ্যামণি ফুলের সৌন্দর্যটুকু আলাদা করে সবার সামনে তুলে ধরে। অভিন্ন আকার আকৃতির ফুল লাল সাদা হলুদ বেগুনি রঙের হয়ে থাকে। এসব রং ফুলটিকে অন্য ফুল থেকে আলাদা করে। এক ফুলের পাপড়িতেও দেখা যায় একাধিক রং। কোন একটি ফুলের চারটি পাপড়িই হয়ত কাঁচা হলুদ রঙের, একটি পাপড়ি আবার লাল! এর পর আর কম্পোজিশনটা স্পেশাল না হয়ে পারে না। কোন কোন ফুলের পাপড়িতে ক্ষুদ্রাকার তিল বা হালকা রেখা দৃশ্যমান হয়। এ কারণেও সৌন্দর্যের বৃদ্ধি ঘটে। ঘ্রাণটাও বেশ। সন্ধ্যামণির বৈজ্ঞানিক নাম মিরাবিলিসি জালাপা। আরও কিছু নাম আছে। সন্ধ্যামালতি নামে চেনেন অনেকে। কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি ...। কৃষ্ণকলিও বলা হয়ে থাকে। বাইরের দেশে তাকালে পাই আরও কিছু নাম। ধারণা করা হয়, ফুলটি পেরু থেকে পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল। ইংরেজীতে একে তাই মার্বেল অব পেরু বলা হয়। আর বিকেল চারটা নাগাদ ফোটে এই বিবেচনায় দেয়া হয়েছে আরও একটি নাম- ফোর ও’ক্লক। উদ্ভিদবিদ দ্বিজেন শর্মার প্রথম পছন্দ সন্ধ্যামণি নামটি। তার বর্ণনা থেকে জানা যায়, সন্ধ্যামণি ক্রান্তীয় আমেরিকার প্রজাতি। গাছ লম্বায় ৬০ থেকে ৯০ সেমি পর্যন্ত হয়। পাতা তাম্বুলাকৃতি, প্রায় ৮ সেমি লম্বা। আর ফুল হয় ৩ থেকে ৫ সেমি। সন্ধ্যামণি ফুলের রং যেমন অনেক, জাতপাতও আছে কয়েকটি। রংয়ের উপর ভিত্তি করেই জাতপাত নির্ধারণ করা হয়। যার যেটি পছন্দ, নার্সারি থেকে সংগ্রহ করে বাগানে বা টবে লাগাতে পারেন। তবে এখন নয়, শীতটা যাক। বসন্তে বীজ বা গাছ লাগান। উপভোগ করুন সন্ধ্যামণির সৌন্দর্য।

আরো পড়ুন  

×