স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর/ নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও ॥ পঞ্জিকার হিসাবে শীতের আগমন ঘটতে এখনও মাসখানেক বাকি। কিন্তু উত্তরের জনপদ দিনাজপুরের পরিবেশ যেন কিছুটা ভিন্ন। ভোরে দেখা যায়, হাল্কা কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে রাস্তাঘাট। ধানের গাছের আগায় জড়িয়ে রয়েছে মুক্তোর মতো শিশির বিন্দু। ভোরে ও রাত গভীর হলে হাল্কা গরম কাপড় গায়ে জড়িয়ে নিতে হয়। এসব কিছুই বলে দেয় শীত নামছে এ জনপদে। শীতে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে এ বিষয়ে জনমনে শঙ্কাও রয়েছে।
দিনাজপুর জেলা এখন মধ্যরাতের পর থেকে হাল্কাভাবে কাঁপতে শুরু করেছে। হাল্কা ঠাণ্ডার সঙ্গে ভোরবেলা পড়তে শুরু করেছে কুয়াশাও। স্থানীয়রা বলছেন, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে চলতি বছর আগাম শীত অনুভব হচ্ছে। দিনের বেলা কিছুটা গরম থাকলেও সন্ধ্যা নামার পর থেকেই কুয়াশায় আস্তে আস্তে দৃষ্টিসীমা কমে আসতে থাকে। রাতভর হাল্কা বৃষ্টির মতো টুপটাপ করে কুয়াশা ঝরতে থাকে। বিশেষ করে ঘাসের ডগা ও ধানগাছের আগায় জমতে দেখা যাচ্ছে বিন্দু বিন্দু শিশির কণা।
ঠাকুরগাঁও ॥ এদিকে নবেম্বর মাস শুরু হলেও ঠাকুরগাঁও এবং তার আশপাশ এলাকায় এখন চলছে দিনে গরম আর মধ্য রাতের পর শীতের প্রভাব। গরমের যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পেতে এখনও দিনের বেলায় চালাতে হচ্ছে সিলিং অথবা টেবিল ফ্যান। অথচ গত মৌসুমে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকে শীতের প্রকোপ শুরু হওয়ায় সে সময় থেকে ফ্যান বন্ধ রেখে রাতে গায়ে ঢাকা দিতে হয়েছে। এ সময় দিনে গরম থেকে রক্ষা পেতে ফ্যান চালালেও শেষ রাতে শীত থেকে রক্ষা পেতে গায়ে কাঁথা/চাদর জড়িয়ে নিতে হচ্ছে। দিনে গরম রাতে শীতের কারণে অনেকে সর্দি-জ্বরে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।